সারা বাংলা

কক্সবাজারে ধর্ষণ: আশিক ও বাবু ৩ দিনের রিমান্ডে

কক্সবাজারে নারীকে ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার প্রধান আসামি আশিকুল ইসলাম আশিক এবং অপর আসামি মেহেদী হাসান বাবুকে ৩দিন করে রিমান্ড দিয়েছেন কক্সবাজার আদালত।

সোমবার (৩ জানুয়ারি) কক্সবাজার ঘোনাপাড়া থেকে বাবু এবং রোববার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে মাদারীপুর থেকে আশিককে গ্রেপ্তার করা হয়। জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মোহাম্মদ আবুল মনসুর সিদ্দিকী তাকে রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেন।

মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মহিউদ্দিন আহমেদ। তিনি জানান, আশিক এবং বাবুকে পৃথকভাবে আদালতে তুলে সাত দিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক তিন দিন করে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।

ট্যুরিস্ট পুলিশ জানায়, ওই নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে মূল অভিযুক্ত আশিকসহ এজাহারভুক্ত সাত জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আশিকুল ইসলাম আশিক কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া এলাকার মৃত আব্দুল করিমের ছেলে এবং মেহেদী হাসান বাবু বাহারছড়ার আবুল কাশেমের ছেলে।

গত ২২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্ট থেকে ২৫ বছর বয়সী এক নারীকে তুলে নিয়ে স্বামী-সন্তানকে জিন্মি করে কয়েক দফা ধর্ষণের অভিযোগ উঠে স্থানীয় অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় পরদিন ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ করার পাশাপাশি অজ্ঞাত পরিচয়ের আসামি করা হয় আরও তিনজনকে। মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক রুহুল আমিনকে। মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি আশিকুল ইসলাম আশিক, মেহেদী হাসান বাবু, ইসরাফিল হুদা জয় ও রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়াও মামলায় সন্দেহভাজন গ্রেপ্তার হয় আরও তিন জন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, আইনগত প্রক্রিয়া শেষে সোমবার সকালে মামলার প্রধান আসামি আশিকুল ইসলাম আশিককে ঢাকা থেকে কক্সবাজার কারাগারে আনা হয়। পরে দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেছেন। একই দিন দুপুরে মেহেদী হাসান বাবুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়।

তিনি আরও বলেন, আশিককে মঙ্গলবার রাতের মধ্যে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এর আগে মামলায় গ্রেপ্তার পাঁচ আসামিকেও রিমান্ডে নিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।