সারা বাংলা

কুয়াকাটা সৈকতে সি-উইড চাষ শুরু 

সি-উইড বা সামুদ্রিক শৈবাল। বাংলাদেশে এর খাবারের চাহিদা না থাকলেও বিশ্বজুড়ে রয়েছে এর ব্যাপক জনপ্রিয়তা। মানবখাদ্য হিসেবে এর ব্যবহার ছাড়াও বিক্সিট, ঔষধ, টেক্সটাইল, কাগজ শিল্প ও জেল জাতীয় খাদ্যের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয় সি-উইড। এ শৈবাল মানবদেহের প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করে। দেশের নতুন এ সি-উইড চাষে বদলে যেতে পারে কৃষকের ভাগ্য। 

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে প্রথমবারের মতো শৈবালের চাষ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঝাউবাগান পয়েন্ট ও গঙ্গামতি পয়েন্টের সমুদ্রে ১০ জন কৃষক এ সি-উইড চাষ শুরু করেন। বাংলাদেশ সি-উইড গ্রোয়ার এন্ড এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন কক্সবাজার থেকে বিনামূল্যে রশি ও সি-উইডের বীজ কৃষকের মাঝে সরবারহ করেন। 

এর আগে বিকেলে কুয়াকাটার পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সের হলরুমে সি-উইড চাষ উদ্বোধন উপলক্ষে সেমিনার হয়। বাংলাদেশ সি-উইড গ্রোয়ার এন্ড এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের অর্থ সম্পাদক জিয়াউল ইকবাল জুয়েলের পরিচালনায় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সি-উইড গ্রোয়ার এন্ড এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ ও অ্যাস্ট্রোলোজার আবদুস সালাম সিকদার। 

বক্তারা বলেন, বিশ্বের বেস্ট সি-উইড বাংলাদেশে জন্মায়। বর্তমানে কক্সবাজারে ব্যাপকহারে এর উৎপাদন হচ্ছে। কুয়াকাটার মাটি ও পানি পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, কক্সবাজারের চেয়ে এখানে সি-উইড আরও ভালো জন্মাবে। প্রাথমিকভাবে ১০ জন কৃষককে প্রশিক্ষণ শেষে তাদের মাঝে বীজ দেওয়া হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, তারা ভালো ফল করতে পারে। পরবর্তীতে কুয়াকাটা সৈকত এলাকায় এর বাণিজ্যিক চাষ শুরু করা হবে।