সারা বাংলা

মদনে নৌকার প্রার্থীসহ ১৫ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত

নেত্রকোনার মদন উপজেলার পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ১৫ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এরমধ্যে এক ইউনিয়নে  ৫ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

ইউপি নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী, নির্বাচনে ভ মোট বৈধ ভোটের আট ভাগের এক ভাগ না পেলে প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।

মদন উপজেলা  নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়  সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার (৫ জানুয়ারি) উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এতে কাস্টিং ভোটের আট  ভাগের এক ভাগ না পাওয়ায় ১৫ জন  প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।

ওই ১৫ জনের মধ্যে ফতেপুর ইউনিয়নের নৌকার মনোনিত নৌকা প্রতীকের প্রাথী মো. জহিরুল ইসলাম চৌধুরীও রয়েছেন।

এছাড়াও যাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে তাঁরা হলেন, কাইটাইল ইউনিয়নের জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল) প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম পেয়েছেন ৯১ভোট। চাঁনগাও ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. জয়নাল আবেদীন (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন ৪৮৩ভোট। মদন ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রাথী সাবেক চেয়ারম্যান এম এ আহাদ (আনারস) পেয়েছেন ৭২৪ভোট। মাঘান ইউনিয়নের স্বতন্ত প্রাথী মো. মোশতাক আহমেদ চৌধুরী (ঘোড়া) পেয়েছেন ৮০৩ভোট।  গোবিন্দশ্রী ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আব্দুল মালেক (আনারস) পেয়েছেন১১৬৭ ভোট। তিয়শ্রী ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম আকন্দ (টেবিল ফ্যান) পেয়েছেন ৯৩১ভোট। আসাদুজ্জামান আজাদ (ঘোড়া) পেয়েছেন ৮১ভোট। তোফায়েল খাঁন (অটোরিক্সা) পেয়েচেন ৩৩৪ভোট, মো. আবুল কালাম আজাদ (টেলিফোন) পেয়েছেন ৬৪ভোট, মো. সাজেদুর রহমান (আনারস) পেয়েছেন ২২০ভোট। নায়েকপুর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান তালুকদার হিরা (ঘোড়া) পেয়েছেন১২২২ভোট।  ফতেপুর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী এজাজুর রহমান (ঘোড়া) পেয়েছেন ২৫৭ভোট, খোকন তালুকদার (অটোরিক্সা) পেয়েছেন ১০৫৩ ভোট ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মতিউর রহমান (টেবিল ফ্যান) পেয়েছেন ৪০ ভোট।

নির্বাচনে প্রাপ্ত বৈধ ভোট বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ওই ১৫ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী আট ভাগের একভাগ ভোট পাননি। ফলে নির্বাচন বিধি অনুযায়ী তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে বলে জানা গেছে।

মদন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হামিদ ইকবাল জানান, নির্বাচনে প্রাপ্ত বৈধ ভোটের আট ভাগের একভাগ ভোট যেসব প্রার্থী পাবেন না তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।