সারা বাংলা

এসএসসিতে যমজ দুই বোনের গোল্ডেন জিপিএ-৫

নিশাত তাবাসসুম ও জেবা তাহসীন। যমজ এই দুই বোন প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক সব শ্রেণিতে পালাক্রমে প্রথম-দ্বিতীয় হয়েছে। এবার এসএসসি’র ফলাফলে ঝালকাঠি সরকারি হরচন্দ্র বালিকা বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে দুই বোনই গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে। এছাড়া জেবা তাহসীন জেলায় সম্মিলিতভাবে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন।

তাদের বাবা মো. নাসির উদ্দিন (৪৭) সদরের ধানসিঁড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক। আর মা আফরোজা খানম সদরের তারুলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। তাদের গ্রামের বাড়ি তারুলী গ্রামে। মেয়েদের লেখাপড়ার জন্য শহরের ফায়ার সার্ভিস মোড়ের একটি ভাড়া বাসায় থাকেন তারা।

গত ৩০ ডিসেম্বর প্রকাশিত ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১২টি বিষয়ে ১ হাজার ২৫০ নম্বরের মধ্যে জেবা তাহসীন পেয়েছে ১ হাজার ৭৩ নম্বর এবং নিশাত তাবাসসুম পেয়েছে ১ হাজার ৪৯ নম্বর। ঝালকাঠি জেলায় জেবা তাহসীন হয়েছে প্রথম। অপরদিকে নিশাত হয়েছে পঞ্চম। তারা বরিশাল বোর্ডেও মেধা তালিকায় থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাবা-মা। এর আগে দুজনই পিএসসি-জেএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ-৫ সহ ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছেন।   

বর্তমানে দু’বোন বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা বড় হয়ে চিকিৎসক হতে চায়।

নিশাত তাবাসসুম বলেন, আমাদের ভালো ফলাফলে মা-বাবার পাশাপাশি শিক্ষকরা দারুণ সহায়তা করেছেন। আমরা দুজনই চিকিৎসক হতে চাই।

জেবা তাহসীন বলেন, ভালো ফলাফল করতে হলে মূল বই বেশি বেশি করে পড়ার বিকল্প নেই। ভালো ফলাফল করে মা-বাবার মুখে হাসি ফোটাতে পেরে ভালো লাগছে। চিকিৎসক হয়ে আমরা মানুষের সেবা করতে চাই।

মা আফরোজা খানম বলেন, শিক্ষকতার কারণে ব্যস্ত থাকায় মেয়েদের লেখাপড়ার বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে পারিনি। তারা নিজেদের চেষ্টায় ভালো ফলাফল করেছে।

বাবা মো. নাসির উদ্দিন বলেন, মেয়েদেরকে কখনো পড়ার জন্য বলতে হয়নি। ছোট বেলা থেকেই ওদের লেখাপড়ায় অধম্য আগ্রহ। একে অপরকে খুবই সহযোগিতা করে। তাদের মধ্যে লেখাপড়া ছাড়া অন্য কোন প্রতিযোগিতা দেখিনি।

ঝালকাঠি সরকারি হরচন্দ্র বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হোসনে আরা আরজু বলেন, অদম্য মেধাবী দুই যমজ বোন  বিদ্যালয়ে বরাবরই ভালো ফলাফল করেছে। ওদের ভালো ফলাফলে আমাদের বিদ্যালয় গর্বিত।