সারা বাংলা

অবশেষে পানির বিল কমালো সিসিক

প্রায় চার মাস নগরবাসীর প্রতিবাদের পর অবশেষে পানির বিল কমিয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)।  তিন ক্যাটাগরিতে চার স্তরের ডায়ামিটারে ১০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত কমানো হয়েছে পানির বিল।

বুধবার (১২ জানুয়ারি) নগর ভবনের কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে পূর্ব নির্ধারিত বিলের পরিমাণ কমিয়ে নতুন পানির নতুন বিল প্রকাশ করেন সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

নতুন বিলের তালিকা অনুযায়ী, প্রতি মাসে আধা ইঞ্চি ব্যাসের লাইনের ক্ষেত্রে আবাসিক গ্রাহকদের ৩০০ টাকা এবং বাণিজ্যিক, প্রাতিষ্ঠানিক ও সরকারি গ্রাহকদের ক্ষেত্রে ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।  পৌনে এক ইঞ্চি ব্যাসের লাইনের ক্ষেত্রে প্রতি মাসে আবাসিক গ্রাহকদের জন্য ৭০০ টাকা এবং বাণিজ্যিক, প্রাতিষ্ঠানিক ও সরকারি গ্রাহকদের জন্য ১ হাজার ১০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রতি মাসে এক ইঞ্চি ব্যাসের লাইনের ক্ষেত্রে আবাসিক গ্রাহকদের জন্য ১ হাজার ২০০ টাকা, বাণিজ্যিক গ্রাহকদের ২ হাজার ২০০ টাকা, প্রাতিষ্ঠানিক গ্রাহকদের ২ হাজার ২০০ টাকা এবং সরকারি গ্রাহকদের ১ হাজার ১০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, জনগণের পক্ষ থেকে দাবি উঠায় আমরা জরুরি সভা করে পানির মাসিক বিল কমিয়েছি।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে মাসিক পানির বিল দিতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, মসজিদ, মন্দির, গির্জাগুলোকে পানির বিল দিতে হবে না।

সংবাদ সম্মেলনে সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী

তিনি বলেন, নগরীতে বসবাসরত মুক্তিযোদ্ধারা কেবল নিজের হোল্ডিং নম্বরের পানির বিল মাফ পাবেন।  বর্তমানে নির্ধারিত পরিমাণ বিল দেওয়া হলেও আগামী পাঁচ থেকের ছয় মাসের মধ্যে পানির মিটার প্রক্রিয়া চালু হবে। এতে যে যে পরিমাণ পানি ব্যবহার করবেন ওই পরিমাণ বিলও দেবেন।

মেয়র বলেন, ধর্মীয় সব উপাসনালয়ের পানির বিল দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া রয়েছে। আমরা মসজিদ-মন্দিরসহ সব উপাসনালয়ের পানির বিল মওকুফ করে দিয়েছি। তবে কেউ অতিরিক্ত পানি বিনা কারণে অপচয় করলে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।

এর আগে ২০২১ সালের ২১ জুন অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় পানির মাসিক বিল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। এরপর জুলাই মাস থেকে বর্ধিত হারে পানির বিল নেওয়া শুরু করে সিলেট সিটি করপোরেশন। এরপর নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিক্ষোভ শুরু করেন নাগরিকরা।