সারা বাংলা

শাবিপ্রবি ভিসি অবরুদ্ধ

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি আদায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে অবরুদ্ধ করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।  

রোববার (১৬ জানুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া আইআইসিটি শিক্ষা ভবনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ভিসিকে অবরুদ্ধ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেছা চৌধুরী ছাত্রী হলের প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগের দাবিসহ তিন দফা দাবি আদায় এবং ছাত্রীদের চলমান আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগে রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বর সংলগ্ন রাস্তা অবরোধ করেছিল আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। 

পরে দুপুর ৩টার দিকে গোলচত্বরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কাছে গিয়ে কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক জহীর উদ্দীন আহমদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুলসী কুমার দাস, প্রক্টর ড. আলমগীর কবির এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মহিবুল আলমসহ অন্যান্য শিক্ষক।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শিক্ষক সমিতির সভাপতি শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দিয়ে বলেন, হলের গুণগত মান উন্নত এবং অব্যবস্থাপনার সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এজন্য তিনি শিক্ষার্থীদের কাছে সাত দিনের সময় চান। কিন্তু শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি না মানার প্রেক্ষিতে তারা বর্ধিত সময় দিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন।  তখন শিক্ষার্থীরা তাদের সামনে ধিক্কার ধিক্কার, প্রশাসন ধিক্কার বলে স্লোগান দিতে থাকেন। 

এরপর শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের পিছু নেন এবং অর্জুন তলা থেকে ফিরে রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে গেলে ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে সামনে পান। তখন শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পিছু নিয়ে ধিক্কার ধিক্কার স্লোগান দিতে থাকে।  এসময় উপাচার্যকে নিয়ে উপস্থিত শিক্ষক ও কর্মকর্তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া আইআইসিটি ভবনে ঢুকলে শিক্ষার্থীরা সেখানে ভিসিকে অবরুদ্ধ করেন।

ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে অবরুদ্ধ থেকে মুক্ত করার জন্য সাড়ে ৩টার দিকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে ধাক্কাধাক্কি ও বাকবিতন্ডা হয়। 

বিকেল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনের সামনে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। 

তিনদফা দাবিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে আন্দোলন করে আসছে শিক্ষার্থীরা।