সারা বাংলা

প্রধানমন্ত্রীর ঘর উপহার পেয়ে কাঁদলেন প্রার্থনা

প্রার্থনা রানী বিশ্বাস। মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা সদরের বাজারধানগর গ্রামের বাসিন্দা। স্বামী শংকর কুমার বিশ্বাস তিন বছর আগে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। তিন কন্যা সন্তান নিয়ে দুর্ভোগে পড়ে যান প্রার্থনা রানী। স্বামীর চার শতাংশ জমির ওপর দোচালা জরাজীর্ণ একটি টিনের ঘরে তিন কন্যা সন্তানকে নিয়ে বাস করেন তিনি। টিনের চালের অসংখ্য ছিদ্র দিয়ে পানি পড়ে। পাটকাঠির বেড়া পচে খসে পড়ছে।  স্যাঁতসেঁতে মাটির মেঝেতে খুব কষ্টে দিন কাটে তাদের। শুনেছেন প্রধানমন্ত্রী দরিদ্র মানুষের জন্য ঘর তৈরি করে দিচ্ছেন। অবশেষে তার স্বপ্ন পূরণ হলো। নতুন ঘরের নির্মাণ কাজ শুরু হলো।

বুধবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রামানন্দ পাল  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার দেওয়া ঘরের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।

প্রার্থনা রানী বিশ্বাস চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি।  তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে একটি ইটের পাকা ঘর করে দিচ্ছেন। আমি দারুণ খুশি। আমি কখনো ভাবিনি আমার ভিটায় ইটের ঘর হবে। তিনি ইউএনওকে ধন্যবাদ জানান। 

বড় মেয়ে সাথী সদরের বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী, মেজো মেয়ে তিথি কানাইনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। আরেকটি মেয়ে সবার ছোট।

বড় মেয়ে সাথী বলেন, পেটের ক্ষুধার চেয়ে ঘর না থাকায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগি। রাতে ঘুম আসে না। আমাদের একটি পাকা ঘর হচ্ছে ভেবে আনন্দ লাগছে।

মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রামানন্দ পাল বলেন, বিধবা হতদরিদ্র নারী প্রার্থনা কষ্টে আছেন জানতে পেরে সরেজমিনে তার বাড়িতে যাই। প্রধানমন্ত্রীর গৃহ নির্মাণ প্রকল্প থেকে প্রায় তিন লাখ টাকা বরাদ্দে তাদের জন্য ঘর নির্মাণ শুরু হলো। দুই কক্ষ, বারান্দা, রান্নাঘর, শৌচাগার নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে। প্রার্থনা রানির জন্য কিছু করতে পেরে ভালো লাগছে।