সারা বাংলা

নোয়াখালী নার্সিং কলেজের ৯১ শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত

নোয়াখালী নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজের ৯১ শিক্ষার্থীর করোনা শনাক্ত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরই কলেজটিতে স্বশরীরে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া বন্ধ রয়েছে শিক্ষার্থীদের জেনারেল হাসপাতালের ক্লিনিক্যালি সেবাও। নেওয়া হয়েছে নানা সতর্কতা। তবে শিক্ষার্থীদের অনলাইনে পাঠদান শনিবার (২২ জানুয়ারি) চালু করার কথা রয়েছে।

শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) নাসিং কলেজের ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ খালেদা খানম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নোয়াখালী নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজ কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, গত ৩ জানুয়ারি থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির শীতকালিন ছুটি ছিল। ছুটি শেষে ক্যাম্পাস ও আবাসিক হোস্টোলে ফিরে আসেন শিক্ষার্থীরা। ১৭ জানুয়ারি সোমবার প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থীর জর ও কাশি শুরু হলে দ্রুত তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাপসাতালে নিয়ে অ্যান্টিজেন র‌্যাপিড টেস্ট করা হয়। পরীক্ষায় তার শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। এরপর ২৬৬ শিক্ষার্থীর নমুনা পরীক্ষা করলে ৯১ জনের করোনা শনাক্ত হয়। গত ১৮ জানুয়ারি থেকে নার্সিং কলেজের পাঠদান বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।

প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থী জানান, আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে কয়েকজনের জর ও হালকা কাশি আছে। তবে সবাই মানসিকভাবে ভালো আছে। 

তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী পিয়াল সরকার বলেন, ‘অসুস্থদের সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। এছাড়াও শিক্ষক ও চিকিৎসকদের পরামর্শে আক্রান্তদের ওষুধ ও ভিটামিন সি যুক্ত খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।’

নাসিং কলেজের ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ খালেদা খানম বলেন, ‘সব শিক্ষার্থীর দুই ডোজ টিকা দেওয়া থাকায় সবাই অন্য রোগীদের তুলনায় ভালো আছে। প্রতিষ্ঠানের হোস্টেলে আক্রান্তদের আলাদা কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। সবার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রতিটি কক্ষে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্কসহ সুরক্ষা সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তাদের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রাখা হলেও শনিবার (২২ জানুয়ারি) থেকে অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আক্রান্তদের মধ্যে অনেকেই এখন সুস্থ, তাদের নমুনা পুনরায় পরীক্ষা করা হবে। শিক্ষার্থীরা ছাড়া কলেজে দায়িত্বরত শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারিরা সবাই সুস্থ্য আছেন। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সাবধানে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’