সারা বাংলা

টিনের ঘরে ক্লিনিক, নবজাতকের মৃত্যু

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় একটি ক্লিনিকে সিজারের পর নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হেলথ অ্যান্ড মেডিকেয়ার নামে ওই ক্লিনিকের অনুমোদন নেই। ক্লিনিকটির চাল টিনের হওয়ার কারণে সেখানে কোনো অপারেশনও করা যাবে না। 

গত ২২ জানুয়ারি হেলথ অ্যান্ড মেডিকেয়ার ক্লিনিকে ঐশি খাতুনের সিজার অপারেশন হয়। এরপরই নবজাতকের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। ঐশি উপজেলার ধুবনী গ্রামের সাহাদুল ইসলামের স্ত্রী। জানা গেছে গত শনিবার বিকেলে অসুস্থ অবস্থায় তিনি বেসরকারি ওই ক্লিনিকে ভর্তি হন। এ সময় তার বাবা আব্দুর রশীদ সঙ্গে ছিলেন। বিভিন্ন পরীক্ষার পর রাতে সিজারের জন্য অপারেশন রুমে নেয়া হয় ঐশিকে। সিজারের দুই ঘণ্টা পর নবজাতকের মৃত্যু হয়। 

আব্দুর রশীদ বলেন, সিজারের আগে আমার মেয়ের বিভিন্ন পরীক্ষা করেছে। তখন নবজাতক সুস্থ ছিল। কিন্তু সিজারের দুই ঘণ্টা পর আমাদের জানানো হয় নবজাতক মারা গেছে। সিজারের আগে বন্ড সই দিয়েছি। তাই বাড়াবাড়ি করলে লাভ হবে না বলে জানিয়েছে ক্লিনিকের লোকজন।

হেলথ অ্যান্ড মেডিকেয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রবিউল আলম বলেন, নবজাতকটি পেটেই মৃত অবস্থায় ছিল। আমরা সিজার করে মৃত নবজাতক বের করি।

এদিকে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নাঈম হাসান নয়ন বলেন, অভিযুক্ত ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ আমাদের এখনও কোনো কাগজপত্র দেয়নি। তবে প্রসূতির আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট যদি ভালো হয় তাহলে নবজাতকের মৃত্যু হওয়ার কথা নয়।    

জেলা সিভিল সার্জন নির্মলেন্দু রায়ও অভিযুক্ত ক্লিনিকের কোনো কাগজপত্র পাননি জানিয়ে বলেন, মনে হয় তারা এখনো অনুমোদন পায়নি। আর ক্লিনিক যদি টিনশেডের হয়, তাহলে সেখানে কখনোই অপারেশন থিয়েটার ও অপারেশন করা যাবে না।