সারা বাংলা

মহেশখালীর পৌর মেয়র কারাগারে 

কক্সবাজারে মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় মহেশখালী পৌরসভার মেয়র মকছুদ মিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মামলার জামিনের জন্য আদালতে আত্মসমর্পণ করে আবেদন করেন তিনি। কিন্তু আদালত জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

বুধবার (২৬ জানুয়ারি) কক্সবাজারের মুখ্য জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আলমগীর মুহাম্মদ ফারুকীর আদালত এ আদেশ দেন। 

অভিযুক্ত মকছুদ মিয়া মহেশখালী পৌরসভার তিনবারের নির্বাচিত মেয়র। তিনি পৌর আওয়ামী লীগের আহবায়ক এবং জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।

মামলার বাদী আমজাদ হোসেন (৬৭) গোরকঘাটা এলাকার মৃত লাল মিয়ার ছেলে। তিনি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মহেশখালী উপজেলা ইউনিট কমান্ডের সাবেক কমান্ডার। গত পৌর নির্বাচনে মেয়র মকছুদের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তিনি।

মামলার এহাজারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৪ নভেম্বর রাতে গোরকঘাটা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে লিডারশিপ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে পৌঁছলে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন। এসময় তিনি দাবী করেন, তার মালিকানাধীন চিংড়ি ঘেরে ডাকাতির ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর ক্ষিপ্ত হয়ে মকছুদ মিয়ার পরিবারের লোকজন প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে তার ওপর হামলা চালিয়েছিল।

বাদীপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট মো. মোস্তফা জানান, হামলার ঘটনায় চিকিৎসা শেষে ২৬ নভেম্বর আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে মেয়র মকছুদ মিয়াকে প্রধান আসামি করে ২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। এর আগে বিরোধীয় চিংড়ি ঘেরে ডাকাতির অভিযোগে ২৪ অক্টোবর আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে মেয়র মকছুদসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা করেছিলেন।

তিনি আরও বলেন, '১৫ ডিসেম্বর মামলার ১ নম্বর আসামি মেয়র মকছুদ মিয়া এ দুই মামলায় হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের জন্য আগাম জামিন লাভ করেন। বুধবার শেষদিনে মামলা দু’টিতে জামিনের জন্য  আদালতে আত্মসমর্পণ করে আবেদন করলে আদালত চিংড়ি ঘেরে ডাকাতি মামলায় জামিন দিলেও মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেনকে হত্যাচেষ্টা মামলায় জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। এ মামলায় বাকী আসামিরা পলাতক রয়েছেন।

কক্সবাজার কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক চন্দন কুমার দাশ জানান, আদালতে জামিন না মঞ্জুর হওয়া আসামি পৌর মেয়র মকছুদ মিয়াকে বিকেলেই পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কক্সবাজার কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।