সারা বাংলা

হক ক্যানেলের দুই পাশের অর্ধশতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ

বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা সদরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া হক ক্যানেলের দুই পাশে থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। 

সোমবার (২৮ মার্চ) সকালে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. রাশেদুজ্জামানের নেতৃত্বে উপজেলার বোয়ালিয়া ভ্যানস্ট্যান্ড থেকে এই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু হয়। 

এ সময় অন্যদের মধ্যে চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইয়েদা ফয়জুন্নেছা, সহকারি কমিশনার ভূমি জান্নাতুল আফরোজ স্বর্না, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুম বিল্লাহসহ বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, উচ্ছেদ অভিযানের প্রথম দিনে ক্যানেলের দুই পাশে থাকা কাঁচা পাকা, আধাপাকা ও একতলা ভবনসহ অন্তত ৫০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। পর্যায়ক্রমে এই ক্যানেলের দুই পাশে থাকা শতাধিক অবৈধস্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। অন্য অবৈধ স্থাপনা আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে উচ্ছেদ সম্পন্ন হবে। দীর্ঘদিন ধরে থাকা নাব্যতা সংকট নিরসনে হক ক্যানেল খননের উদ্যোগ নেয় সরকার। দরপত্র আহবান, ঠিকাদার নির্বাচনসহ সব ধরণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড। সম্প্রতি ঠিকাদারের লোকজন খাল খনন করতে গেলে অবৈধ দখলদারদের বাঁধার মুখে ফিরে আসেন। এরপরেই খালের দুই পাশের  অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের উদ্যোগ নেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড।

অবৈধ দখলদারদের দৌরাত্বে ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ খালটি এখন ছোট ক্যানেলে পরিনত হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড পুনঃখনন ও উচ্ছেদ অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয়রা।তারা জানান, চিতলমারী উপজেলাবাসীর জন্য হক ক্যানেলেটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ক্যানেলটি উপজেলা সদরেরে পাশ দিয়ে গেছে। ১২ কিলোমিটার দৈর্ঘের এই ক্যানেলটির পানিই এলাকার মানুষ নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করতো। কিন্তু কিছু অসাধু দখলদারদের কারণে দিন দিন ক্যানেলটি যেমন নাব্যতা হারাচ্ছে তেমনি তার দুই পাড়ও ছোট হয়ে আসছে। 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুম বিল্লাহ বলেন, অবৈধ স্থাপনার কারণে চিতলমারী বাজার সংলগ্ন হক ক্যানেল এক কিলোমিটারের খনন বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছিল। যার কারণে এই ক্যানেলের দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করা হয়েছে। আশাকরি তিন চারদিনের মধ্যে এই উচ্ছেদ অভিযান শেষ হবে। 

নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রে. মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, সম্প্রতি জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী সারাদেশে নদীর জমিতে থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ চলছে। সেই অংশ হিসেবে চিতলমারী হক ক্যানেলের দুই পাশে থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করেছি আমরা।