সারা বাংলা

রামপালে পুকুর থেকে কুমির উদ্ধার

বাগেরহাটের রামপালের একটি পুকুর থেকে কুমির উদ্ধার করেছে বনবিভাগ। এ সময় কুমিরটিকে এক নজর দেখতে সেখানে ভিড় জমান স্থানীয় বাসিন্দারা। ধারণা করা হচ্ছে, খাবারের সন্ধানে এই কুমিরটি লোকালয়ে চলে এসেছে।

মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) ভোরে উপজেলার শ্রীরম্ভা এলাকার ইস্রাফিল শেখের বাড়ির পুকুর থেকে কুমিরটি উদ্ধার করা হয়। 

ইস্রাফিল শেখের ছোট ভাই মিরাজ শেখ বলেন, ফজরের নামাজ পড়ার জন্য পুকুরে ওযু  করতে গিয়ে কুমিরটি দেখতে পাই। এ সময় কুমির বলে চিৎকার করলে গ্রামবাসী এসে জড়ো হয়। পুকুরে জাল ফেলে ও রশি দিয়ে বেঁধে কুমিরটি টেনে তীরে তোলা হয়। পরে সেটিকে স্থানীয় একটি স্কুল মাঠে নিয়ে যাওয়া হয়। বিষয়টি বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী তালুকদার হাবিবুন নাহারকে জানানো হয়। তিনি বন বিভাগের কর্মকর্তাদের পাঠান। 

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের লালন ও পালনকৃত  ৮টি হাঁস ও ৬ টি মুরগী কয়েকদিন ধরে পাওয়া যাচ্ছিল না। ধারণা করা হচ্ছে ওই কুমিরটি হাঁস ও মুরগী খেয়ে ফেলেছে।’ 

আবুল বাশার নামের এক গ্রামবাসী বলেন,পশুর নদী থেকে জোয়ারের সময় কুমিরটি হয়তো স্থানীয় কচুয়ার খালে ঢুকে পড়ে। পরবর্তীতে কুমিরটি পুকুরে আশ্রয় নিয়ে হাসঁ ও মুরগী খেয়ে বেঁচে ছিল। কুমিরটির যাতে ক্ষতি না হয় সে জন্য সর্তকভাবে বেঁধে সেটিকে বন বিভাগের কাছে হস্থান্তার করা হয়েছে। 

সায়লা বেগম নামের এক নারী বলেন, কুমির দেখতে আগে আমাদের খানজাহান আলী  (র.) মাজার বা সুন্দরবনে যেতে হতো। তবে আজ (মঙ্গলবার) আমারা গ্রামবাসী পরান ভরে কুমির দেখেছি। অনেকে গায়ে হাত বুলিয়েছে। আমরা কুমির দেখতে পেরে খুশি হয়েছি। 

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের করমজল বন্য প্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির বলেন, পুকুর থেকে কুমির আটক করা হয়েছে গ্রামবাসির কাছ থেকে  এমন খবর পেয়ে কুমিরটিকে উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলে যাই। কুমির যেহেতু হিংস্র প্রাণী সতর্কতার সাথে সেটিকে গাড়িতে তুলে বনে নিয়ে আসি। কুমিরটিকে পশুর নদীতে অবমুক্ত করা হবে। 

তিনি আরও বলেন, খাদ্যের সন্ধানে কুমির লোকালয়ে আসতে পারে। মানুষ সচেতন হয়েছে এখন আর কুমির কেউ মারে না। গত এক বছরে বাগেরহাটে বিভিন্ন এলাকা থেকে ৪টি কুমির উদ্ধার করা হয়। ওই সব কুমির সুন্দরবনের করমজল সংলগ্ন খালে অবমুক্ত করা হয়।