সারা বাংলা

বাঙ্গির ভালো দাম পাওয়ায় চাষীর মুখে হাসি

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় বাঙ্গির ভালো দাম পাওয়ায় স্থানীয় চাষীদের মুখে হাসি ফুটেছে। গত দুই বছর করোনাসহ বিভিন্ন কারণে বাঙ্গি চাষ করে তারা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। এ বছর সেই ক্ষতি তারা পুষিয়ে নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

রমজান সামনে রেখে প্রতিবছর উপজেলার চাষীরা বাঙ্গির চাষ করেন। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সেগুলো বিক্রি হয়।

উপজেলার প্রধান বাঙ্গির বাজার কাটাখালী, বাধানোঘাট ও নতুন হাট বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই চাষীরা বাঙ্গি নিয়ে বাজারে আসছেন। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা এসেছেন বাঙ্গি কিনতে। প্রকার ভেদে একশ বাঙ্গি ৩ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে দেখা গেছে। 

স্থানীয় বাঙ্গি চাষী রাশেদ শেখ বলেন, এক বিঘা (৫২ শতাংশ) জমিতে বাঙ্গি ও লালমি চাষে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়। এ বছর এক বিঘা জমির বাঙ্গি ৫০ থেকে ৮০ হাজার টাকার বিক্রি করা যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, বাঙ্গি চাষ লাভজনক। বাঙ্গি তোলার পর জমিতে ধান চাষ করা হয়। একই জমিতে দুই ধরনের ফসল আবাদ করায় লাভবান আমরা।

কৃষ্ণপুর গ্রামের বাঙ্গি চাষী জুলহাস শেখ জানান, ৭৮ শতাংশ জমিতে বাঙ্গি চাষ করতে তার প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। রোজার শেষ পর্যন্ত বাজারে চলমান দাম থাকলে প্রায় ১ লাখ টাকা বিক্রির সম্ভাবনার কথা বলেন তিনি। 

কাটাখালী বাজারের বাঙ্গি ব্যবসায়ী শেখ সামাদ জানান, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকারী ব্যবসায়ীরা এসে বাঙ্গি কিনে নিয়ে যায়। তেমনই একজন ব্যবসায়ী ঢাকার দোহার থেকে আসা আক্তার হোসেন। তিনি  বলেন, রোজার সময় প্রতিবছর এখানে আসি বাঙ্গি কিনতে। এখান থেকে বাঙ্গি, লালমি কিনে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিক্রি করি। একশ বাঙ্গি ৪ হাজার টাকায় কিনেছি, আবার একটু বড় সাইজের একশ কিনেছি ৬ হাজার টাকায়।

সদরপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে উপজেলায় ৮৯১ হেক্টর জমিতে বাঙ্গি ও লালমি চাষ হয়েছে।