নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার খোলাবাড়িয়া উচ্চবিদ্যালয়ের সভাপতি ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষক সালাহ উদ্দিনকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়ের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে বিলম্ব হওয়ায় তাকে মারধর করা হয়। নিরাপত্তাহীনতায় শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে তিনি এলাকা ছেড়ে যান।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার স্কুল কমিটির সভাপতি আব্দুল আওয়াল ও তার অনুসারীরা খোলাবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অফিসে যান। এ সময় তারা পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন বিলম্ব হওয়ার কারণ জানতে চান। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্য তর্কবির্তক হয়। এ সময় প্রধান শিক্ষককে মারধরের ঘটনা ঘটে। প্রধান শিক্ষক বৃহস্পতিবার সভাপতি আব্দুল আওয়াল, তার ভাই প্রভাষক আয়নাল হক, স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের ধর্মপিতা পরিচয়দানকারী আব্দুল হাই, আলমগীর ও পাশের মাদরাসার পিয়ন সেন্টুর নাম উল্লেখ করে ও নাম না জানা কয়েকজনের বিরুদ্ধে নলডাঙ্গা থানায় অভিযোগ দেন।
প্রধান শিক্ষক সালাহ্ উদ্দিন বলেন, জীবনের নিরাপত্তা না থাকায় শুক্রবার বিকেলে তিনি এলাকা ছেড়ে রাজশাহী চলে গেছেন। এরআগে একই দিন সকালে তাকে আপোষের জন্য নলডাঙ্গা থানায় ডাকা হলেও তিনি আপোষ করেননি বলে জানান।
এ সময় থানার ওসি ও ইউপি চেয়ারম্যান কলিম উদ্দিন ছাড়াও উভয় পক্ষের অনেকে থানায় ছিলেন বলে দাবি করেন প্রধান শিক্ষক।
নলডাঙ্গা থানার ওসি শফিকুল ইসলাম আপোষ করানোর চেষ্ঠার কথা অস্বীকার করে বলেন, সেদিন স্কুলে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
অভিযুক্ত সভাপতি আব্দুল আওয়াল বলেছেন, প্রধান শিক্ষক তাকে সভাপতির দায়িত্ব দিতে গড়িমসি করায় এ বিষয় কথা বলার জন্য কয়েকজনকে নিয়ে তিনি সেদিন স্কুলে গিয়েছিলেন। সেখান কাউকে মারধর করা হয়নি। তবে উত্তেজনা দেখা দেয়।