দীর্ঘদিন ধরে পেটের ব্যথাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন রব্বানী শেখ (৪৮)। অনেক অর্থ ও সময় ব্যয় করেও সেসব রোগ থেকে মুক্তি মিলছিল না। তাই ক্ষোভে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে।
বুধবার (২৭ এপ্রিল) সকালে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার নদন্দনালপুর ইউনিয়নের দড়ি কোমরপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। রব্বানী শেখ ওই গ্রামের মৃত মসলেম শেখের ছেলে।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ জানায়, গত ১০ থেকে ১২ বছর ধরে রব্বানী শেখ আলসার, পেটের ব্যথাসহ নানান জটিল রোগে ভুগছিলেন। অনেক চেষ্টা করেও রোগ আরোগ্য হচ্ছিল না। তাই ক্ষোভে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
নদন্দনালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান খোকন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে রব্বানী শেখ বিভিন্ন রোগে ভুগছিল। তার দুই ছেলে মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। পরিবারে উপার্জন করার আর কেউ নেই।’
তিনি আরো বলেন, ‘শ্রমিকের কাজ করে রব্বানী যা পেত তা দিয়ে চিকিৎসা, সংসার ও ছেলেদের পড়াশোনা করানো তার কাছে অসহনীয় হয়ে পড়েছিল। তাই ক্ষোভে আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ‘পরিবার গাছ থেকে মরদেহ নামিয়ে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল করে। পরিবারের অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘চলমান চিকিৎসার কাগজপত্র দেখে জানা যায়, তিনি জটিল রোগে ভুগছিলেন। রোগ থেকে মুক্তি না মেলায় ক্ষোভে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।’