ঠাকুরগাঁওয়ে পেট্রোল সংকটের ১০ম দিন চলছে। এখনো কোনো প্রকার সমাধান মেলেনি এই সমস্যার। পেট্রোল না থাকায় অকটেনের ওপর বেশি চাপ পড়েছে। তবে কোনো কোনো পাম্পে অকটেন শেষ হয়ে যাওয়ায় সেগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। তবে পেট্রোল সমস্যার সমাধান কবে হবে তা এখনও জানতে পারছেন না গ্রাহকরা।
পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের পার্বতীপুর ডিপোর ব্যবস্থাপক এমরানুল হাসান বলেন, ‘পার্বতীপুরে বরাদ্দ এমনিতে কম থাকে। এদিকে এবার ঈদের সময়ে চাপ বেশি ছিলো। কিন্তু বরাদ্দ আরও কমে গেছে। তাই জেলা পর্যায়ের চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না।’
সংকট সমাধানে পার্বতীপুর ডিপোর পরিবর্তে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ি থেকে পেট্রোল সরবরাহের পরামর্শ দিচ্ছে ঠাকুরগাঁও প্রশাসন। তবে বাঘাবাড়ি থেকে পেট্রোল সরবরাহে অনিহা দেখাচ্ছে ফিলিং স্টেশনের মালিকপক্ষ। তাই ঠাকুরগাঁওসহ পুরো উত্তরবঙ্গে পেট্রোল সংকটের জন্য ফিলিং স্টেশনগুলোর সদিচ্ছার অভাবই দায়ি বলে মনে করছে প্রশাসন।
ফিলিং স্টেশন সংশ্লিষ্টরা জানান, পার্বতীপুর থেকে ঠাকুরগাঁওয়ে ফুয়েল আনতে গাড়ি ভাড়া লাগে ১০ হাজার টাকা করে। অন্যদিকে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ি থেকে একই পরিমাণ ফুয়েল আনতে গাড়িভাড়া লাগে ১৮ হাজার টাকা করে। এক্ষেত্রে খরচ বেশি হওয়ায় লাভ থাকে না। তাই বাঘাবাড়ি থেকে ফুয়েল সরবরাহ করতে চাইছে না জেলার ফিলিং স্টেশন মালিকরা।
ইতোমধ্যে ঠাকুরগাঁয়ের সুপ্রিয় ফিলিং স্টেশন বাঘাবাড়ি ডিপো থেকে পেট্রোল সরবরাহ করছে। ফিলিং স্টেশনের মালিক বাবলুর রহমান বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের পরামর্শে বাঘাবাড়ি ডিপো থেকে আপাতত পেট্রোল সরবরাহ করছি। আপৎকালীন সেবা প্রদানের লক্ষ্যে নিজেদের লোকসান হলেও বাঘাবাড়ি থেকে পেট্রোল আনছি। তবে লোকসানের ভয়ে এতদূর থেকে অন্যরা আনতে চাইছে না।’
পেট্রোল সংকটে বন্ধ থাকা বাঁধন-কাকন ফিলিং স্টেশনের মালিক মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘আমরা বাঘাবাড়িতেও যোগাযোগ করেছি। তবে তারাও সংকট দেখিয়ে আমাদের প্রেট্রোল দিতে অনিহা প্রাকাশ করেছে। জনসেবায় আমরা অধিক লাভের দিকে গুরুত্ব দিচ্ছি না।’
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘পেট্রোল সমস্যার সমাধানে কাজ করছে ঠাকুরগাঁও প্রশাসন। একাধিকবার ফিলিং স্টেশনের মালিকদের নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে। ঠাকুরগাঁওয়ে বরাদ্দ বাড়ানোর লক্ষে চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে। আশাকরি দ্রুতই সমাধান পাওয়া যাবে।’