নোয়াখালীর সদর উপজেলায় তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে ফাঁসানোর জন্য মামা ওমর ফারুখকে (৩০) হত্যা করে মরদেহ সেফটিক ট্যাংকে ফেলে রাখেন আনছারুল করিম (৩৮)।
আজ সোমবার (৯ মে) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম।
গ্রেপ্তার আনছারুল করিম কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার উত্তর ঝাপুয়া গ্রামের মো. ইসমাইলের ছেলে। নিহত ওমর ফারুখ একই গ্রামের খাতুবর বাড়ির মৃত আলী আহম্মদের ছেলে।
পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম জানান, নোয়াখালীর সদর উপজেলার উত্তর সাকলা গ্রামের হারুনের মেয়ে শারমিন আক্তারের সঙ্গে আনছারুল করিমের বিয়ে হয় ২০১৮ সালে। গত ২০ এপ্রিল কাজীর মাধ্যমে তারা একে-অপরকে তালাক দেয়। তালাকের পর থেকে শারমিনের ওপর ক্ষিপ্ত ছিল আনছারুল। এক পর্যায়ে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী ও তার পরিবারকে ফাঁসানোর জন্য পরিকল্পনা করে আনছারুল। পরিকল্পনা অনুযায়ী আসামি তার চাচাতো মামা ওমর ফারুখকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ সমাধান করে দেওয়ার কথা বলে গত ৫ মে শ্বশুর বাড়ি নোয়াখালীর সদর উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের উত্তর চাকলা গ্রামে নিয়ে আসে।
পুলিশ সুপার জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী আনছারুল তার সহযোগীসহ ওই দিন রাতে শ্বশুর বাড়ির উত্তর পাশে সুপারি বাগানের মধ্যে নিয়ে ওমর ফারুখকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর তিন দিন পর আনছারুল নিজে ফোন করে সেফটিক ট্যাংকে লাশ পড়ে থাকার খবর দেয় শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে।
পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম আরও বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রোববার (৮ মে) রাত ৩টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগরীর আকবর শাহ থানা এলাকা হতে আনছারুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি পেশায় রিকশা চালক। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
নিহতের ভাই আব্দুর রহমান বাদী হয়ে সোমবার (৯ মে) সকালে সুধারাম মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।