সারা বাংলা

সেনবাগে ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হামলা, আটক ৪

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার নবীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো.বেলায়েত হোসেন সোহেলের ওপর হামলা চালিয়েছে একদল বখাটে। এ সময় স্থানীয়রা চার হামলাকারীকে  আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।  

মঙ্গলবার (১০ মে) সন্ধ্যার দিকে ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের নূরানী মাদ্রাসা সংলগ্ন কালামিয়ার টেক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আটককৃতরা হলেন গোপালপুর গ্রামের অন্তর (১৯),  বেগমগঞ্জ উপজেলার রফিকপুর গ্রামের টিপু (২৪), আবদুল গনি পারভেজ (২৫) ও ইমরান হোসেন  শান্ত (২০)।  

নবীপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আবদুল ছোবহান জানান, মঙ্গলবার দুপুরের দিকে গোপালপুর গ্রামের কয়েকজন কিশোরী পুকুরে গোসল করতে যায়। এ সময় একই গ্রামের রবি (২৩) ও তার সহযোগীরা কিশোরীদের উত্ত্যক্ত করতে শুরু করে।

ভুক্তভোগী কিশোরীদের পরিবার বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানকে জানান। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বিষয়টি জানানো কারণে বিকেলের দিকে রবি তার সহযোগীদের নিয়ে কিশোরীদের বসতঘরে হামলা চালায় এবং তাদেরকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে।

তিনি আরো জানান,খবর পেয়ে চেয়ারম্যান আমাকে ঘটনাস্থলে পাঠালে বখাটেরা চলে যায়। একপর্যায়ে রবির মা ও কিশোরীদের মায়ের মধ্যে তুমুল বাকবিতন্ডা বেধে যায়। তখন আমি বিষয়টি চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে আসেন।

ইউপি সদস্য বলেন,চেয়ারম্যান এসে দুই পক্ষকে নিবৃত করে। অভিযুক্ত রবিকে চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত গাড়িতে তুলে নেন। একপর্যায়ে রবির সহযোগী ৩০-৩৫ জন বখাটে চেয়ারম্যান ও তার ভাগ্নে নজরুল ইসলামের  ওপর হকিস্টিক ও রড দিয়ে হামলা চালায়। এতে চেয়ারম্যান গুরুত্বর আহত হন। হামলাকারীরা চেয়ারম্যানের ব্যবহৃত প্রাইভেটকারও ভাঙচুর করে। এ সময় স্থানীয় লোকজন হামলাকারী চারজনকে আটক করে এবং চেয়ারম্যানকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। রাত ২ টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

নবীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো.বেলায়েত হোসেন সোহেল বলেন, ইভটিজিং নিয়ে বিরোধের জেরে বখাটেরা হামলা চালায়। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।  

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী জানান, স্থানীয় লোকজন চারজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। মামলা দায়েরের পর তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে নোয়াখালী আদালতে সোপর্দ করা হবে।