সারা বাংলা

মাগুরা মার্কা নির্বাচন আর হবে না : ওবায়দুল কাদের

আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এ দেশে মাগুরা মার্কা নির্বাচন আর হবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বিরোধীদল আজ ধরাশায়ী।

শনিবার (১৪ মে) দুপুরে মাগুরা জেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ভার্চ্যুয়ালি উদ্বোধনের সময় তিনি এ সব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় ১৯৯৪ সালে মাগুরা-২ আসনে উপনির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ ওঠে। এরপর আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে আন্দোলনের মুখে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি সংবিধানে যোগ করতে বাধ্য হয়েছিল বিএনপি।

মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন উপলক্ষে মাগুরা শহরের নোমানী ময়দানে কয়েক হাজার নেতা-কর্মী উপস্থিত হয়। 

সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের বিষয়ে বলেন, মাগুরার মাটি আওয়ামীলীগের ঘাঁটি। এখানে অনেক যোগ্য নেতা রয়েছেন। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে কাউন্সিলরদের উপস্থিতিতে আওয়ামীলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ও দলীয় সভানেত্রীর মতামতের ভিত্তিতে নেতা নির্বাচিত হবেন। আজকের এই দিনে আমাদের বার্তা হচ্ছে— ভালো লোকদের দলে টানুন, খারাপ লোক বের করে দিন। আওয়ামীলীগে ভালো লোকের অভাব নেই। 

মাগুরা জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আ ফ ম আবদুল ফাত্তাহর সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ। তবে সম্মেলন চলাকালে তার ভাই কাজী একরামুল্লাহর মৃত্যুর খবর পেয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। 

মাগুরা জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন উপলক্ষে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতারা। 

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, মাগুরা ১ ও ২ আসনের সংসদ সদস্য যথাক্রমে সাইফুজ্জামান শিখর ও বীরেন শিকদার প্রমুখ। সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক।

সম্মেলন উপলক্ষে কয়েক দিন ধরে নেতা-কর্মীদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। সকাল থেকে কর্মীরা মিছিল নিয়ে নোমানী ময়দানে জড়ো হন। দুপুরের পর শহরের শেখ কামাল ইনডোর স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় অধিবেশনে কাউন্সিলরদের উপস্থিতিতে নতুন কমিটির নেতা নির্বাচন করেন কেন্দ্রীয় নেতারা।

সবশেষ ২০১৫ সালের ৮ মার্চ মাগুরা জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন হয়। যেখানে তৎকালীন সংসদ সদস্য সিরাজুল আকবর সভাপতি ও পঙ্কজ কুমার কুণ্ডু সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। সম্মেলনের পরদিন সংসদ সদস্য মো. সিরাজুল আকবরের মৃত্যুর পর তানজেল হোসেন খান সভাপতির দায়িত্ব পান। দুই বছর আগে তার মৃত্যুর পর থেকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আ ফ ম আবদুল ফাত্তাহ।