সারা বাংলা

পঞ্চগড়ে বৃষ্টিতে ডুবেছে টমেটো-বাদাম ক্ষেত, ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা

পঞ্চগড়ের সদর উপজেলার বানিয়াপাড়া গ্রামের কৃষক আশকর আলী। এ বছর সাড়ে ৬ বিঘা জমিতে বাদাম এবং দুই বিঘা জমিতে টমেটোর আবাদ করেছেন তিনি। টমেটোর ফলন এবং দাম ভালো। বাদামও পরিপক্ব হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে তুলবেন ভেবেছিলেন। কিন্তু ঘরে তোলার আগেই বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে বাদাম এবং টমেটোর ক্ষেত। ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা করছেন তিনি।

আশকর আলীর মতো একই অবস্থা ওই এলাকার শত শত কৃষকের। বাদাম এবং টমেটোর মতো বৃষ্টির পানিতে ক্ষতি হয়েছে ভুট্টা এবং মরিচের ক্ষেতও।  

স্থানীয় কৃষকরা জানান, গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে এ এলাকার ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন শতাধিক কৃষক।

কৃষক সফিউল ইসলাম জানান, তার দুই বিঘা জমির টমেটো জলাবদ্ধতার কবলে। ফলন এবং দাম ভালো থাকলেও লাভের মুখ দেখা হবে না তার। 

তিনি জানান, দুই বিঘা ক্ষেত থেকে এখন পর্যন্ত ৪০ হাজার টাকার মতো টমেটো বিক্রি করেছেন। ক্ষেতে প্রচুর ফল রয়েছে। বৃষ্টির পানি না জমলে এবার এক থেকে দেড় লাখ টাকা পেতেন। 

কৃষক ওয়ালিয়ার রহমান বলেন, ‘দুই বিঘা জমিতে বাদাম আবাদ করেছি। এখনও পরিপক্ব হয়নি। অথচ পুরো ক্ষেত এখন পানির নিচে। ৪০ হাজার টাকা খরচ করে দুই বিঘা টমেটো করেছি। এখনও খরচের টাকা তুলতে পারিনি, এর আগেই ক্ষেত ভরা পানি।’  

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় ৮ হাজার ৫২৫ হেক্টর জমিতে বাদামের আবাদ হয়েছে। আর টমেটোর আবাদ হয়েছে ৭৭২ হেক্টর জমিতে। তবে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা এখনি বলা যাচ্ছে না। ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে কাজ চলছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

পঞ্চগড় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জয়দেব বর্মন বলেন, এখনও উপজেলা থেকে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা আসেনি। ইউনিয়নভিত্তিক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে কাজ করছেন। জলাবদ্ধ জমির পানি দ্রুত নিষ্কাশন করা গেলে ক্ষতির পরিমাণ খুব বেশি হবে না বলেও জানান তিনি।