শেরপুরে বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ছোট বোন। এঘটনায় বড় বোন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ মামলায় অভিযুক্ত একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ধর্ষিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শেরপুর জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
সোমবার (১৬ মে) সন্ধ্যায় শেরপুর সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের নয়া পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (১৭ মে) পুলিশ জানায়, গত দুই দিন আগে শেরপুর পৌর এলাকার চকপাঠক মহল্লায় গাজিপুর থেকে ১৮ বছর বয়সের ছোট বোন বড় বোনের বাসায় বেড়াতে আসে। ১৬ মে বিকেলে বড় বোনকে সাথে নিয়ে ছোট বোন সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের নয়া পাড়া গ্রামে চিকিৎসার জন্য এক কবিরাজের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়। ওই বাড়ির কাছাকাছি সন্ধ্যায় লছমনপুর গ্রামের সুরুজ্জামানের ছেলে মাছ বিক্রেতা হাফিজুর রহমান মন্টু এবং একই ইউনিয়নের হাতি আগলা গ্রামের আজাদ মিয়ার ছেলে আলম মিয়া তাদেরকে গতিরোধ করে বড় বোনকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে ছোট বোনকে তুলে ঝোপে নিয়ে ধর্ষণ করে। এসময় বড় বোন ডাক চিৎকার করে আশপাশের লোকজন জড়ো করে। পরে ঝোপ থেকে ছোট বোনকে উদ্ধার করে।
এঘটনায় বড় বোন বাদী হয়ে ওই রাতে সদর থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সোমবার রাত সাড়ে ১১ টার দিয়ে নয়াপাড়া গ্রাম থেকে হাফিজুর রহমান মন্টু নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়ে দেয়। অন্যজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে সদর থানা পুলিশ জানিয়েছে।
এ বিষয়ে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হান্নান মিয়া জানান, অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের আলামত উদ্ধার করে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং আরেক জনকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।