সারা বাংলা

কার্গোর ধাক্কায় নৌকার মাঝি নিহত, মাস্টারসহ আটক ১১  

বাগেরহাটের মোংলা-ঘষিয়াখালী নৌ রুটে পণ্যবাহী কার্গোর ধাক্কায় ফারুক হোসেন খলিফা (৫৫) নামের এক নৌকার মাঝি মারা গেছেন। 

সোমবার (২৩ মে) সকাল ৯ টায় কাটা নদীতে এমভি কাজী সোনিয়া-১ কার্গোর ধাক্কায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কার্গো এবং কার্গোর মাস্টারসহ ১১ জনকে আটক করেছে ঘষিয়াখালী নৌ পুলিশ। 

নিহত ফারুক হোসেন খলিফা মোরেলগঞ্জ উপজেলার ঘষিয়াখালী গুচ্ছগ্রামের আলকাস হোসেনের ছেলে। ফারুক হোসেন ওই নদীতে খেয়া পারাপারের নৌকা চালাতেন। প্রতিদিনের মত সোমবার ভোরে ফারুক হোসেন ঘষিয়াখালী নৌকা চালাতে যান। সকাল ৯টার দিকে টার্মিনালে নৌকা বেঁধে খাবার খাচ্ছিলেন তিনি। এসময় এমভি কাজী সোনিয়া-১ কার্গো নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে টার্মিনালের উপর উঠে যায়। এতে টার্মিনালের পাশে থাকা লোহার পিলার ভেঙে চাপা পড়ে ফারুকের একটি হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফারুক ঘটনাস্থলেই মারা যান। 

ফারুকের নৌকাটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফারুক হোসেনের স্ত্রী জাহানারা বেগম।

তিনি বলেন, কার্গোটি আমার স্বামীকে তো খেয়েছে। আমাদের আয়ের একমাত্র সম্বল নৌকাও ধ্বংস করেছে। এখন একমাত্র ছেলেকে নিয়ে আমি কিভাবে সংসার চালাবো। আমি এই হত্যাকারীদের সঠিক বিচার চাই।

স্থানীয় বহরবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রিপন হোসেন তালুকদার বলেন, নিহত ফারুক হোসেন খলিফা খুবই দরিদ্র মানুষ। খেয়ে না খেয়ে তার সংসার চলতো। 

হতদরিদ্র এই পরিবারটির স্বচ্ছলতার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসার আহবান জানান এই জন প্রতিনিধি।

ঘষিয়াখালী নৌ পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আমরা কার্গোটিকে আটক করেছি। কার্গোর মাস্টারসহ ১১জনকে আটক করা হয়েছে। এঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।