সারা বাংলা

ঠাকুরগাঁওয়ে মিষ্টি কুমড়ার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

ঠাকুরগাঁওয়ে মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন হয়েছে। সেই সঙ্গে ভালো দাম ও চাহিদা থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।

জানা যায়, গত বছর বিঘা প্রতি মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হয়েছে ৮ হাজার টাকা করে। এ বছর তা বিক্রি হচ্ছে ২৪ হাজার টাকায়।

কৃষকরা জানান, আবহাওয়া জনিত কারণে গেল বছর মিষ্টি কুমড়ার ফলন ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চাষের সময় পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় ফল ছোট ও বিকৃত হয়ে যায়। তবে এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাড়তি সার ও কীটনাশক ছাড়াই মিষ্টি কুমড়ার উৎপাদন ভালো হয়েছে।

সরেজমিনে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভুল্লি, সিঙ্গিয়া, বালিয়া, আউলিয়াপুর, ঢোলারহাটসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সড়কের পাশে স্তূপ করে রাখা মিষ্টি কুমড়া তোলা হচ্ছে ট্রাকে। নিজ জেলার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ সারাদেশে যাচ্ছে সুস্বাদু এই সবজি।

কৃষক মনতাজুর ইসলাম বলেন, ‘ঠাকুরগাঁওয়ে প্রতিনিয়ত কুমড়ার চাষ বাড়ছে। মোট ১৫ একর জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছি। গত বছরও একই পরিমাণ জমিতে চাষাবাদ করেছিলাম। তবে প্রচুর লোকসান হয়েছিল। এবার ভালোই লাভ হবে।’

আরেক কুমড়া চাষি মানিক বলেন, ‘মরিচের পাশাপাশি সাথী ফসল হিসেবে মোট ২ একর জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছি। ফলন অনেক ভালো হয়েছে। এবার এতো দাম পাবো আশা করিনি।’

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ঠাকুরগাঁও কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবু হোসেন বলেন, ‘কুমড়া চাষ অনেক লাভজনক। অল্প ব্যয়ে ফলন বেশি পাওয়া যায়। এই ফসল চাষের সুবিধাজনক দিক হল, এটি সাথী ফসল হিসেবে চাষ করা যায়। এতে অন্য ফসলও হয় আবার বাড়তি হিসেবে কুমড়াও হয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা নিয়মিত কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি। ক্ষতিকারক বালাইনাশক ব্যবহার করলে অনেক উপকারী পোকা মারা যায়। তাই কৃষকদের জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করানো হচ্ছে।’