সারা বাংলা

হিলিতে চালের দাম কেজিতে ৬ টাকা বেড়েছে 

চার দিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলি বন্দর বাজারে চালের দাম কেজিতে ৫ থেকে ৬ টাকা বেড়েছে। হঠাৎ দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীসহ নিম্ন আয়ের মানুষ। 

চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, মিল মালিকদের কারসাজি ও ধান গুদামজাত করার জন্য চালের এই সংকট ও দাম বাড়ার কারণ।

শনিবার (২৮ মে) দুপুরে হিলি চালের বাজার ঘুরে জানা যায়, প্রতিটি জাতের চালের দামই অস্বাভাবিক বেড়েছে। চার দিন আগেও এসব চালের দাম স্বাভাবিক ছিলো। স্বর্ণা-৫ ছিলো ৪০ থেকে ৪২ টাকা, আজ তা বিক্রি হচ্ছে ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা কেজি দরে। ২৮ জাতের চালের কেজি ছিলো ৪২ থেকে ৪৪ টাকা, তা বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকায়। নাজিরশাল চালের কেজি ছিলো ৪৫ থেকে ৪৬ টাকা, আজ তা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকা কেজি দরে।

হঠাৎ চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষের নাভিশ্বাস বেড়েছে। বিপাকে পড়েছেন সাধারণ চাল ব্যবসায়ীরা।

চাল কিনতে আসা ভ্যানচালক আক্কাস আলী বলেন, আমরা গরীব মানুষ ভ্যান চালায়ে খাই। কয়েকদিন আগেও ৪০ টাকা করে চাল নিলাম, আজ সেই চাল ৪৬ টাকা কেজি চাচ্ছে। এতো দাম হলে সংসারে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে কিভাবে চলবো?

মুদি দোকানদার কাসেম হোসেন বলেন, ব্যবসা আর কি করবো? পাঁচদিন আগেও স্বর্ণা-৫ চাল ৪২ থেকে ৪৪ টাকা কেজি নিয়ে গেলাম। আজ তা কিনতে হলো ৪৮ টাকা কেজি দরে।

হিলি বাজারের চাল ব্যবসায়ী স্বপন পাল বলেন, বাজারে চালের আমদানি নেই। কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ধানের অনেক ক্ষতি হয়েছে। মিলে ধান শুকাতে পারছেন না মালিকরা, আবার ধানের দামও বেশি।

হিলি বাজারের পাইকারি চাল ব্যবসায়ী বাবুল হোসেন বলেন, ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে চালের দাম বেড়ে গেছে। প্রতিদিন কেজিতে এক টাকা করে দাম বাড়ছে। বর্তমান আমরা কোন মিলে চাল পাচ্ছি না। চালের কথা বললে তারা বলছেন চাল নেই। তারা বর্তমান ধান গুদামজাত করতে ব্যস্ত, মিলে কোন ধান সিদ্ধ বা শুকানোর কাজ করছেন না মিল মালিকরা। সরকারের সাথে চুক্তিকৃত চাল সরবরাহ নিয়ে ব্যস্ত তারা। চাল না পাওয়ার কারণে দাম বেড়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ভারত থেকে চাল আমদানি বন্ধ রয়েছে। যদি সরকার আবার ভারত থেকে চাল আমদানির পারমিট দেয় তাহলে আবার চালের দাম স্বাভাবিক হবে।