নীলফামারীর ডোমার রেলওয়ে স্টেশনে সোমবার (৬ জুন) সারা দিনে যাত্রী সেজে বসে থাকার পর বিকেলে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হোসাইন শরিফের নেতৃত্বে উপ-সহকারী পরিচালক মমিন উদ্দিন, জয়ন্ত সাহা ও রুবেল হোসেন অভিযান চালায়।
সহকারী পরিচালক হোসাইন শরিফ বলেন, ‘স্টেশনের বুকিং অফিস ও টিকেট কাউন্টারে তল্লাশি করা হয়েছে। টিকিট রেজিস্ট্রার খাতা পরীক্ষা করে দেখা যায়, প্রধান বিচারপতি, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতিসহ এলাকার রাজনৈতিক নেতা এবং কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির নামে একাধিক টিকিট বুকিং ছিল। অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। অনেকে টিকেট বুকিংয়ের বিষয়ে নিশ্চিত করলেও অতিরিক্ত টিকেট বুকিং না করার কথা জানান।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সকাল থেকে যাত্রীবেশে ডোমার রেল স্টেশনে অবস্থান করেছি। সেখানে নীলফামারী স্টেশনের ৩টি টিকেট কিনেছি কালোবাজারিদের কাছ থেকে। স্টেশনে কর্মরত কারও সরাসরি কালোবাজারির প্রমাণ না পেলেও বুকিং সহকারীদের সঙ্গে টিকেট কালোবাজারিদের যোগাযোগ আছে।’
এ বিষয়ে কমিশনে প্রতিবেদন জমা দেবেন এবং পশ্চিমাঞ্চল রেলের সঙ্গে কথা বলবেন। তারাও এটির তদন্ত করবে বলে জানান দুদকের এই কর্মকর্তা।
ডোমার রেলস্টেশন মাস্টার আশরাফুল ইসলাম বলেন, ডোমার স্টেশনে টিকিট কলোবাজারি হবে না। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।