কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় রিনা খাতুন (৩০) ও জয়া (১১) নামে মোটরসাইকেলের দুই আরোহী প্রাণ হারিয়েছে। এরা সম্পর্কে মা ও মেয়ে। এ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন নিহত জয়ার বাবা ও রিনার স্বামী আশরাফুল ইসলাম জনি (৩৬)।
কুষ্টিয়া-রাজবাড়ি আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমারখালীর নদন্দনালপুর ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় শুক্রবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আশরাফুল ইসলাম জনি কুষ্টিয়া শহরের হউজিং সি ব্লকের আব্দুস সালামের ছেলে। তিনি পেশায় একজন মটরগাড়ি মেকার।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জনি শুক্রবার তার স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে রাজবাড়ী জেলার পাংশার মাছপাড়া এলাকার শ্বশুর বাড়ি থেকে নিজ বাড়ি কুষ্টিয়া শহরের হাউজিংয়ে আসছিলেন। রাত সাড়ে ৯ টার দিকে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ি আঞ্চলিক মহাসড়কে ওভারটেককালে কাভার্ডভ্যান মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই স্ত্রী রিনা খাতুন মারা যান। গুরুতর আহত জনি ও তার সন্তান জয়াকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নেয়। রাত দেড়টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেয়ে জয়াও মারা যায়।
সড়ক দুর্ঘটনায় মা ও মেয়ের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. মো.আশরাফুল আলম।
তিনি বলেন, মায়ের মৃত্যুর প্রায় চার ঘণ্টা পরে রাত দেড়টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জয়ার মৃত্যু হয়। তার বাবা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার অবস্থা মোটামুটি ভালো।
আহত আশরাফুল ইসলাম জনি বলেন, রাতে শ্বশুর বাড়ি থেকে এক মোটরসাইকেলে আমি, দুই মেয়ে ও স্ত্রী চারজন বাড়ি ফিরছিলাম । হঠাৎ একটি গাড়ি পিছন থেকে ধাক্কা দিলে আমরা সড়কে পড়ে যাই।
চৌড়হাঁস হাইওয়ে থানার ওসি ইদ্রিস আলী বলেন, মোটরসাইকেলে চারজন ছিল। ঘটনাস্থলে স্ত্রী রিনা মারা যায়। পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেয়ে জয়াও মারা যায়।
কুমারখালী থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। কাভার্ড ভ্যানটি টোলপ্লাজা এলাকা থেকে জব্দ করা হয়েছে।