সারা বাংলা

পেটে গজ রেখে সেলাই: শের-ই-বাংলা হাসপাতালের চিকিৎসককে অব্যাহতি

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রসূতির অস্ত্রোপচারের পর পেটে গজ রেখে সেলাই দেওয়ার ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার কারণে এক অনারারি মেডিকেল অফিসারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দুই সিনিয়র স্টাফ নার্সকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

অব্যহতিপ্রাপ্ত চিকিৎসক মো. তাহের এবং শোকজপ্রাপ্ত দুই নার্স হলেন সুমী সরকার ও মিঠু রানী দাস।

রোববার (১২ জুন) সন্ধ্যায় হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় গত ২২ মে হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. নাজিমুল হককে প্রধান করে গাইনী বিভাগের প্রধান খুরশীদ জাহান ও হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মনিরুজ্জামান শাহীনকে নিয়ে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। শনিবার (১১ জুন) বিকেলে তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিলে হাসপাতালের অনারারি মেডিকেল অফিসার মো. তাহের অব্যহতি দেওয়া হয়। তিনি এমবিবিএস পাস করে হাসপাতালের গাইনি বিভাগে ছয় মাসের প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন। এ ঘটনায় হাসপাতালের দুজন স্টাফ নার্সকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। 

১৬ এপ্রিল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এক কন্যাসন্তান জন্ম দেন ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার জিয়াউল হাসানের স্ত্রী শারমিন আক্তার শীলা। অস্ত্রোপচারের পর তার পেটে গজ রেখেই সেলাই করে দেন চিকিৎসক। সুস্থ হয়ে শারমিন বাড়ি ফেরার কিছু দিন পর থেকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। ধীরে ধীরে সেখানে পচন ধরে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। পরে ব্যথা অনুভব করতে থাকেন শারমিন। বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানালে তাকে পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. নাজিমুল হক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে জানান, শারমিনের পেটের ভেতর গজ রয়ে গেছে। পরে ২২ মে পুনরায় অস্ত্রোপচার করে তা অপসারণ করা হয়। শারমিন আক্তারের পেটে দীর্ঘদিন গজ থাকায় পেটের ভেতরে পচন ধরে নাড়ি ফুটো হয়ে যায়। অস্ত্রোপচার করে গজ অপসারণ করা হয়েছে।