সারা বাংলা

ফল প্রত্যাখ্যান, ইভিএম ‘ইঞ্জিনিয়ারিং’ করে হারানো হয়েছে: সাককু

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে জয় পেয়েছেন নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত। তবে এ ফলকে প্রত্যাখ্যান করে আইনি লড়াইয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির বহিষ্কৃত ও গত দুই বারের মেয়র মনিরুল হক সাককু। তিনি বলেন, ইভিএম ‘ইঞ্জিনিয়ারিং’ করে আমাকে হারানো হয়েছে।

বুধবার (১৫ জুন) রাত সাড়ে ৯টায় ফল ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন। এরপরই তিনি নির্বাচনস্থল ত্যাগ করেন।

নতুন নির্বাচন কমিশনকে মেরুদণ্ডহীন আখ্যা দিয়ে সাককু বলেন, তাদের কোমরই নেই। মেরুদণ্ড থাকলে এভাবে করে? আমার ১০১টি কেন্দ্র ঘোষণা হয়ে গেছে। আর চারটি কেন্দ্র বাকি ছিল। আমার লোক বললো, ৪টি দিলে আমরা চলে যাই। সেটা না করে দেড় ঘণ্টা ঘোরালো। দেড় ঘণ্টা টেলিফোন করে, প্রস্রাব করতে যায়। এরপর হুট করে রেজাল্ট ঘোষণা করে দিল।

এর আগে, রাত ৯টা ৪৫ মিনিটের দিকে বিজয়ী প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী। নির্বাচনে ৩৪৩ ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছেন নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত। নির্বাচনে তিনি পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩১০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মনিরুল হক সাককু পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১০৫ কেন্দ্রের ৬৪০ কক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে ১০৬ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন প্রার্থী অংশ নেন। নির্বাচনে দুই লাখ ২৯ হাজার ৯২০ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এরমধ্যে নারী ভোটার এক লাখ ১৭ হাজার ৯২, পুরুষ ভোটার এক লাখ ১২ হাজার ৮২৬ জন। দুজন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন।