সারা বাংলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাড়ছে কিশোর অপরাধ, আটক ১৯

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দিন দিন বাড়ছে কিশোর গ্যাংয়ের অপরাধ কর্মকাণ্ড। তারা ছাত্রীদের ইভটিজিং করে। সুযোগ বুঝে মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনতাই করে। তাদের কারণে ছাত্রীরা স্কুল-কলেজে যেতে ভয় পায়।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) দুপুরে শহরের লোকনাথ উদ্যান থেকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১৫ ছাত্রসহ কিশোর গ্যাংয়ের ১৯ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতদের বয়স ১৪ থেকে ২০ বছরের মধ্যে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্লাস শুরু ও ছুটির সময় কিশোররা হালদারপাড়ার সূর্যমুখী কিন্ডারগার্টেনের সামনের রাস্তা, কাজীপাড়ার সাবেরা সোবহান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তা, হালদারপাড়া গভ. গালর্স উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তা, মৌড়াইল অবকাশ এলাকার ফারুকী পার্কের সামনে, পাইকপাড়া আনন্দময়ী বালিকা বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তা,  লোকনাথ উদ্যান (টেংকেরপাড়), ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর আধুনিক মার্কেটের সামনেসহ বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করে ছাত্রীদের ইভটিজিং করে। বিশেষ করে ফারুকী পার্ক ও লোকানাথ উদ্যানে (টেংকেরপাড়) কিশোরদের আনাগোনা বেশি থাকে।

শহরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা স্কুল ফাঁকি দিয়ে ওই দুটি জায়গায় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে। নিজেদের মধ্যে মারামারি করে। সুযোগ পেলে পথচারীদের ডেকে নিয়ে তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। গত ১৫ দিনে লোকনাথ উদ্যানে প্রতিপক্ষের কিশোরদের মারধরসহ বেশ কয়েকটি অপরাধ কর্মকাণ্ড করে। মাস খানেক আগে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা এক কলেজ ছাত্রীকে মারধর করে তার কাছে থাকা মোবাইল ফোন ও টাকা নিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।

স্থানীয়রা জানান, কিশোর অপরাধীরা শহরের প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান হওয়ায় তাদের কেউ কিছু বলতে সাহস পায় না। তাই দিন দিন তাদের দৌরাত্ম্য বাড়ছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, ১৯ জন কিশোর অপরাধীকে আটক করা হয়েছে। স্কুলের প্রধান ও তাদের অভিভাবকদের খবর দেওয়া হয়েছে। তাদের ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

তিনি অভিভাবকদের তাদের সন্তানদের প্রতি নজর দেয়ার আহ্বান জানান। 

কিশোর অপরাধীদের বিরুদ্ধে শহরে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানান ওসি মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম।