সারা বাংলা

বন্যায় কিশোরগঞ্জের শতাধিক গ্রাম প্লাবিত

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে কিশোরগঞ্জের হাওরের ছয়টি উপজেলার ২৫টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। শনিবার (১৮ জুন) দুপুর পর্যন্ত হাওর এলাকার বিভিন্ন নদ-নদীর পানি উপচে প্লাবিত হয়েছে গ্রাম, হাট-বাজার এবং আশ্রয় কেন্দ্রগুলো। ইতোমধ‌্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্গত এলাকার মানুষদের আশ‌্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

বিকেলে কিশোরগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমান জানান, কিশোরগঞ্জ হাওরের উপর প্রবাহিত বিভিন্ন নদ-নদীর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় তিন ফুট বেড়েছে। পানি বৃদ্ধি অব‌্যাহত থাকলে আগামীকাল থেকে অবস্থার আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, ইটনা উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন, মিঠামইনের ৭টি ইউনিয়নের সবকটি, অষ্টগ্রামের ১টি, নিকলীর তিনটি, করিমগঞ্জের পাচঁটি ও তাড়াইল উপজেলার চারটি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ও হাট-বাজারে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। দুর্গত এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন‌্যা প্লাবিত গ্রামে ইতোমধ‌্যে ১৪৪ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করে ত্রাণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে জনজীবনে বিপর্যয় ঘটেছে। গবাদিপশু খাদ্য ও আশ্রয় সংকটে রয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম জানান, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সব হাওরে পানি বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ শুরু হয়েছে। সকাল থেকে বন‌্যা কবলিত গ্রাম পরিদর্শন করছি। পরিস্থিতি মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।