সারা বাংলা

পাহাড়ে অবৈধ বসতি উচ্ছেদে অভিযান শুরু করেছে প্রশাসন

চট্টগ্রাম মহানগরীতে পাহাড় কেটে বসতি নির্মাণ এবং পাহাড়েরর পাদদেশে থাকা ঝুঁকিপূর্ণ বসতি উচ্ছেদে অভিযান শুরু করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। একই সঙ্গে এসব স্থানে থাকা মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে।

রোববার (১৯ জুন) সকাল থেকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের দুই জন নির্বাহী ম্যাজিট্রেটের নেতৃত্বে নগরীর আকবর শাহ থানার এক নম্বর ঝিলের বরিশাল ঘোনা এলাকায় এই উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। অভিযানে পুলিশ ও র‌্যাবের সদস্যরা সহায়তা করছে।

এদিকে সকাল থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানে এখন পর্যন্ত ১৪৫টি অবৈধ ঘর উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে জানা গেছে 

পাহাড়ের পদদেশে এইভাবেই ঝুঁকি নিয়ে থাকছেন সাধারণ মানুষজন

উচ্ছেদ অভিযানে থাকা চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনেরর সহকারী কমিশনার (ভূমি) ওমর ফারুক বলেন, ‘পাহাড়তলীর যেসব পাহাড়ের বসতি উচ্ছেদ করা হচ্ছে সেগুলো রেলওয়ের পাহাড়। এখানে থাকা স্থাপনা উচ্ছেদ করে আমরা রেলওয়েকে বুঝিয়ে দিচ্ছি। এরপরও দেখা যায়, কিছু লোক আবারও এখানে অবস্থান করতে চলে আসেন। আমরা এখন কঠোর অবস্থানে রয়েছি। পরবর্তীতে কেউ এখানে থাকার জন্য বা পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ঘর-বাড়ি তৈরি করেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলাসহ কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা উচ্ছেদে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এখানে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাসকারীদের সরে যাওয়ার জন্য আগে থেকেই বলা হয়েছে এবং মাইকিং করা হচ্ছে।’

ওমর ফারুক বলেন, ‘রোববার সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ১৪৫টি অবৈধ ঘর উচ্ছেদ করা হয়েছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত এই অভিযান চলবে।’

জেলা প্রশাসক মোমিনুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘পাহাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সেখানে কাঁটা তারের বেড়া দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করা হবে। যদি কেউ এ সীমানা ভেঙে বসতি গড়ে তোলেন তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এবং রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকেও বলেছি তাদের আওতাধীন পাহাড়ি জায়গায় নির্মিত অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করে সেখানে কাঁটা তারের বেড়া ও গাছ লাগিয়ে সংরক্ষণ করতে। পাহাড়ে অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

উচ্ছেদ করা একটি বসতি

এ সময় অন্যদের মধ্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সিনিয়র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম, চান্দগাঁও সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদ রানা, কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) উমর ফারুক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল আমিন সরকার উপস্থিত ছিলেন। 

আরো পড়ুন: চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে নিহত ৪