সারা বাংলা

প্রধান শিক্ষকের ছুঁড়ে মারা চেয়ারে সহকারী শিক্ষক আহত 

টাইমস্কেলের রেজুলেশন কপিতে স্বাক্ষর না করাকে কেন্দ্র করে প্রধান শিক্ষকের ছুঁড়ে মারা চেয়ারের আঘাতে আহত হয়েছেন সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম (৫৬)। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রোববার (১৯ জুন) সকালে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার মন্ডতোষ ইউনিয়নের দহপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। 

বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছ থেকে জানা গেছে, দুই মাস আগে টাইমস্কেলের জন্য ওই বিদ্যালয়ের ১১ জন শিক্ষক, কর্মচারী আবেদন করেন। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমান রেজুলেশন কপিতে স্বাক্ষর দিতে টালবাহানা শুরু করেন। রেজুলেশন কপিতে স্বাক্ষর করতে  তিনি শিক্ষক, কর্মচারীদের কাছ থেকে ২ হাজার টাকা করে ঘুষ দাবি করেন বলে অভিযোগ শিক্ষক কর্মচারীদের। 

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিদ্যালয়ের বিএসসি শিক্ষক রফিকুল ইসলামসহ ওই ১১ জন শিক্ষক, কর্মচারী প্রধান শিক্ষকের কাছে রেজুলেশন স্বাক্ষর না করার বিষয়ে জানতে চান। এ নিয়ে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তারা। এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলামকে লক্ষ্য করে চেয়ার ছুঁড়ে মারলে তিনি আহত হন। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

এ বিষয়ে সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দুই মাস আগে টাইমস্কেলের জন্যে আমরা আবেদন করেছি। কিন্তু প্রধান শিক্ষক রেজুলেশন কপিতে স্বাক্ষর করতে প্রথমে ২ হাজার ও পরে ১৫০০ টাকা ঘুষ দাবি করেন। স্বাক্ষর করতে টালবাহানা করায় আজ আমরা প্রধান শিক্ষকের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে চেয়ার ছুড়ে মারেন।’ 

এ অভিযোগের বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমান বলেন, ‘রেজুলেশন স্বাক্ষর করার জন্য আমি ষুষ দাবি করিনি। এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।’ 

তিনি দাবি করেন, ‘সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন এবং আমাকে মারধর করেছেন। আমার কানে আঘাত পাওয়ায় আমি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি।’

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি অফিসের কাজে রাজশাহী আছি। আমি শুনেছি, দহপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের মধ্যে মারামারি হয়েছে। একজন শিক্ষক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে।’