সারা বাংলা

তিস্তা পাড়ের ৮ হাজার পরিবার পানিবন্দি

গত কয়েকদিনের বৃষ্টিপাত এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে নীলফামারীর তিস্তা নদীতে কখনো পানি কমছে আবার কখনো বাড়ছে। মঙ্গলবার (২১ জুন) দুপুরে ডালিয়া পয়েন্টে এ নদীর পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। 

এদিকে তিস্তার পানিতে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় ৮ হাজার পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় আছেন। ওইসব এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের সঙ্কট। 

এর আগে মঙ্গলবার সকাল ৬টা এবং  ৯টার দিকে ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৫২.৬০ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হয়। রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। 

এদিকে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই, পূর্বছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবড়ি, খালিশাচাঁপানী ও ঝুনাগাছ চাঁপানী এবং জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা, ডাউয়াবাড়ি, কৈইমারী, শৌলমারী ইউনিয়নের তিস্তা নদীর চর গ্রামগুলো প্রায় ৮ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে আছে বলে সেখানকার জনপ্রতিনিধিরা জানায়। 

নদীবেষ্টিত সোনাখুলী এলাকার বাসিন্দা রবিউল ইসলাম জানান, গত পাঁচ দিন ধরে পানিবন্দি আছি। চুলো জ্বালানো যাচ্ছে না।  শুকনো খাবার খেয়ে কোন রকমে বেঁচে আছি। 

টেপাখড়িবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল হক বলেন, ৫ দিন ধরে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমায় ওঠানামা করছে। কখনো পানি উঠেছে।  আবার কখনো নামছে। এখন প্রচুর ত্রাণ দরকার। 

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা উদ দৌলা জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে তিস্তার পান বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।