সারা বাংলা

বন্যায় কুয়াকাটা সৈকতে কমেছে পর্যটক, ডানা মেলেছে প্রকৃতি

বর্ষা মৌসুম শুরুর পর অর্থাৎ মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই কুয়াকাটা সৈকতে কমেছে পর্যটকের আনাগোনা। সেই সুযোগে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে প্রকৃতি সেজেছে  অপরূপ সাজে। তবে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর যারা ভ্রমণ করবেন তারা প্রকৃতির এই অনাবিল সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন বলে আশা করছেন পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মে মাসের শুরু থেকেই কুয়াকাটার অনেক হোটেলের বুকিং কমে গেছে। বর্তমানে সৈকতের অধিকাংশ হোটেলে ৩০ ভাগও বুকিং নেই। কারণ কুয়াকাটায় এ সময় পর্যটক কম আসছেন। ফলে সৈকতে মানুষের ভিড় নেই। এই পরিবেশে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে ফুটেছে গুল্মলতা বা সাগর লতা। এর মধ্যে সৈকতের ট্যুরিজম পার্কসংলগ্ন এলাকা, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি ও তিন মোহলা এলাকা উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়া সৈকতের তেত্রিশকানি পয়েন্ট থেকে শুরু করে কাউয়ার চর পর্যন্ত বিভিন্ন পয়েন্টে বেড়েছে লাল কাকড়ার অবাধ বিচরণ। 

মূলত সাগরে মাছ ধরার উপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা থাকায় প্রচুর লাল কাকড়া সৈকতে বাসা বেঁধেছে বলে জানান ট্যুরিজম ব্যবসায়ীরা। সৈকতের বিভিন্ন স্পটে দেখা মিলেছে রং-বেরঙের ঝিনুকের। এদিকে আগের তুলনায় সমুদ্রে ঢেউয়ের ঝাপটাও অনেকটা বেড়েছে। সমুদ্রের গর্জন অতুলনীয় এক অনুভূতি। 

কুয়াকাটা হোটেল মোটেল মালিক সমিতির (কুটুম) কোষাধ্যক্ষ হোসাইন আমির জানান, মূলত প্রতি বছরই বর্ষার শুরু থেকে কুয়াকাটায় পর্যটকের আনাগোনা কমে। এ বছরও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। এতে আমাদের কিছুটা লোকসানের মুখে পড়তে হয়। তবে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর সৈকতে পর্যটক আসবে। ইতোমধ্যে অনেকেই বুকিং দিতে শুরু করেছেন।

কুয়াকাটা সৈকতের ট্যুরিজম ব্যবসায়ী কেএম বাচ্চু জানান, যে স্থানে আমার ১০ বছর আগে সাগরলতা দেখেছি সে স্থানে নতুন করে সাগরলতা জন্মেছে। সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে লাল কাকড়া বেড়েছে। ঈদে পর্যটক এলে প্রকৃতির এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।