সারা বাংলা

স্বপ্নের সেতুকে বরণ করতে বর্ণিলসাজে বাগেরহাট

স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনে চলছে কাউন্টডাউন। আগামীকাল শনিবার (২৫ জুন) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন দেশের সব থেকে বড় এই সেতু। 

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। দক্ষিণের জেলা বাগেরেহাটও এর ব্যতিক্রম নয়। বাগেরহাটকেও সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। পদ্মা সেতু সংক্রান্ত বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন ও পোস্টারে ছেয়ে গেছে বাগেরহাট জেলা। আলোকসজ্জা করা হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, মহাসড়ক, সেতু ও সরকারি ভবনে। বাসস্ট্যান্ড, গুরুত্বপূর্ণ মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে বাজানো হচ্ছে পদ্মাসেতুর থিমসং। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিতেও ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো। সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে এক সপ্তাহ ধরে নানা কর্মযজ্ঞ চালাচ্ছে জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও মোড়ে পদ্মা সেতুর থিম সং বাজানো হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু ও পদ্মাসেতুর উপর তথ্যচিত্র প্রচার, বিভিন্ন সড়কে আলোকসজ্জা ও সৌন্দর্যবর্ধণ করা হয়েছে। উদ্বোধনী দিনে সুসজ্জিত পিকআপে করে বাউল শিল্পীদের দিয়ে পদ্মা সেতুর গান বাজানো হবে, উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সকলকে দেখানোর জন্য স্বাধীনতা উদ্যানে প্রজেক্টর ও সাউন্ড সিস্টেম স্থাপন, আনন্দ র‌্যালি, আলোচনা সভা, জেলা কারাগার, হাসপাতাল ও শিশু সদনে উন্নতমানের খাবার বিতরণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও অ্যাক্রোবেটিক শো‘র আয়োজন করেছে জেলা প্রশাসন। 

অন্যদিকে বাগেরহাটের দড়াটানা সেতু, মুনিগঞ্জ সেতু, মোল্লাহাটের আবুল খায়ের সেতুসহ সকল বড় বড় সেতু ও গুরুত্বপূর্ণ সড়কে আলোকসজ্জা করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সবমিলিয়ে সাধারণ মানুষের মনেও এক ধরণের অন্যরকম আনন্দ বইছে পদ্মা সেতু নিয়ে।

বাগেরহাট সাহাপাড়া এলাকার বাসিন্দা রুহুল আমিন বলেন, পদ্মা সেতু শুধু একটি সেতু নয়, এটা আমাদের স্বপ্ন। এই উপলক্ষে শুধু সরকার ও আওয়ামী লীগ নয়, আমরা পুরো বাগেরহাটবাসী খুশি। 

দড়াটানা টোল প্লাজার সংলগ্ন ব্যবসায়ী বাদশা মিয়া বলেন- ঈদ, বিজয় দিবসসহ বিভিন্ন উৎসবে আলোকসজ্জা হলেও আমার মনে হয় এবারই সব থেকে বেশি আলোকসজ্জা হয়েছে। আমাদের এলাকার প্রতিটি মানুষ খুশি পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে।

বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. ভুইয়া হেমায়েত উদ্দিন বলেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্য আমাদের নেতাকর্মীরা খুবই উচ্ছোসিত। জেলা থেকে অর্ধলক্ষাধিক মানুষ আমরা পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করব। এছাড়াও প্রতিটি ইউনিয়নে নেতাকর্মীরা আনন্দ মিছিল ও মিস্টি বিতরণ করবে বলে জানান এই নেতা।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে সাধারণ মানুষের যে আনন্দ-উচ্ছাস, তার সঙ্গে জেলা প্রশাসনও শামিল হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আনন্দ র‌্যালি, আলোকসজ্জা, ব্যানার, ফেস্টুন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর সাথে সাথে সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বড় পর্দায় সম্প্রচারেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।