সারা বাংলা

পদ্মা সেতু উদ্বোধন: বিনামূল্যে খাওয়ানো হচ্ছে পিঠা

ভাপা, পাটি সাপটা, চিতই ও কুলি পিঠা। নারকেল দিয়ে রাখাইনদের হাতে তৈরি হরেক রকমের পিঠা সাজিয়ে রাখা হয়েছে টেবিলে। আর এসব পিঠা পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সীমা বৌদ্ধ বিহারে আসা পর্যটকদের খাওয়ানো হচ্ছে বিনামূল্যে।

শনিবার (২৫ জুন) সকালে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে পিঠা উৎসবের আয়োজন করে কুয়াকাটার মিস্ত্রীপাড়ার রাখাইনরা। এর আগে, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে ঘিরে বের করা হয় একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি। এতে যোগ দেন, স্থানীয় বিভিন্ন ধর্মের মানুষ।

পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে রাখাইন সম্প্রদায়ের সবার মধ্যে উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গেছে। এর আগে, শুক্রবার (২৪ জুন) নতুন সাজে সজ্জিত করা হয়েছে রাখাইনদের বৌদ্ধ বিহার।

মিস্ত্রীপাড়া বৌদ্ধ বিহারের ধর্মগুরু উত্তম মহাথের বলেন, ‘পদ্মা সেতু উদ্বোধনের ফলে আমাদের অনেক উপকার হলো। প্রায়ই কুয়াকাটা থেকে চট্টগ্রাম ও বান্দরবান আসা যাওয়া করতে হয়। এখন আর মাওয়া ঘাটে কষ্ট করতে হবে না। এছাড়া, আমাদের উৎপাদিত পোশাক দ্রুত সময়ের দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দেওয়া যাবে। শুধু আমাদের জন্য নয়, সারা বিশ্বের জন্য এই সেতুটি একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘ঐতিহাসিক এই দিনটি স্মরণীয় করতে রাখতে আমরা পাড়ায় পাড়ায় আনন্দ উল্লাস করছি। পিঠা উৎসব, নাচ-গান ও সবাই একত্রিত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর জন্য প্রার্থনা করছি। তিনি আমাদের জন্য আশীর্বাদ।’

মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের বলেন, ‘শুধু রাখাইন পাড়াগুলো নয়, পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে যেসব স্থানে উৎসব হচ্ছে, সব যায়গাতেই পুলিশ নিরাপত্তা দিচ্ছে। এছাড়া পুলিশের একটি টহল টিম মাঠে নিয়োজিত রয়েছে।’