সারা বাংলা

বয়স ৯০, আর কত হলে মিলবে কার্ড! 

ভোলার লালমোহনের ধলিগৌরনগর ইউনিয়নের ৯০ বছরের বৃদ্ধ মো. আজাহার। শরীরে শক্তি থাকাকালীন মানুষের দিনমজুরি করে চালিয়েছেন সংসার। এখন শরীরে বাসা বেঁধেছে বিভিন্ন জটিল রোগ। নিভে গেছে এক চোখের আলোও। তাই এখন আর দিন মজুরিতে কাজও করতে পারেন না বৃদ্ধ আজাহার।

এ ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের চরমোল্লাজী গ্রামের মোজাম্মেল হক মেম্বার বাড়িতে অন্যের জমিতে দিনশেষে একটি ঝুপড়ি ঘরে কোনোরকম মাথা গোঁজেন তিনি।

এক প্রকার বাধ্য হয়ে গত ৮-১০ বছর ধরে ভিক্ষা করেই চলছে আজাহারের জীবন-যাপন। ব্যক্তিজীবনে তিন বিয়ে করলেও একজন স্ত্রীও বেঁচে নেই। তার দুই সন্তান খোঁজ নেন না বৃদ্ধ বাবার। তাই এখন ভিক্ষা করে যা পান, তা দিয়ে কোনওরকমে খেয়ে-পরে চরম দুর্দশায় বেঁচে আছেন।

আজাহার বলেন, ‘৯০ বছরের মত বয়স হয়েছে। এহন পর্যন্ত সরকারি কোনও ভাতা পাইনি। আর কত বয়স হলে বয়স্ক ভাতা পামু। আর কয়দিন পরে চলে যামু কবরে। আমি একটা চালের নাম আর একটা ভাতার জন্য চেয়ারম্যান-মেম্বারসহ অনেকের কাছে গিয়েছি। তারা দেবে বলে কেবল ঘুরান। তাই সরকারের কাছে দাবি, মৃত্যুর আগে যেন আমাকে কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়। সরকারি কোনও সহায়তা পেলে হয়তো বাকি যে ক’দিন বেঁচে আছি ততদিন একটু ভালোভাবে বাঁচতে পারব।’

ধলিগৌরনগর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. জাহির ভুঁইয়া বলেন, তাকে বিভিন্ন সময় আমরা ব্যক্তিগতভাবে সহায়তা করেছি। তারপরও আশ্বাস দিয়েছি, সামনে ভিজিডি’র তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করে দেবো।