সারা বাংলা

আবারো গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডভুক্ত হলেন অন্তু

নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার নাফিস ইসতে তওফিক (অন্তু) এক মিনিটে হাতের পিঠে ১০০ এবং ৩০ সেকেন্ডে ৬৫টি পেন্সিল রেখে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়েছেন। 

এর আগেও অন্তু দ্রুত সময়ে ১০ টি মাস্ক পড়ে, হাতের স্পর্শ ছাড়াই দ্রুত সময়ে কলা খেয়ে ও স্ট্যাপলারের পিন দিয়ে শিকল তৈরি করে গিনেস রেকর্ডভুক্ত হন। এরফলে অন্তু মোট চারবার গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে  নিজের নামা উঠালেন।

রোববার (৩ জুলাই) দুপুরে অন্তুর মা নাজমুন নাহার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

অন্তু নীলফামারীর সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র। তিনি একই উপজেলার নীলকুঞ্জ আবাসিক এলাকার ইউনূছ আলীর ছেলে।

জানা গেছে, এর আগে হাতে পেন্সিল রেখে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লিখিয়েছিলেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মনিরুল ইসলাম। তিনি ২০১৯-২০ সেশনের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী। ৩০ সেকেন্ডে হাতের পিঠে সর্বোচ্চ ৫০টি পেন্সিল ব্যালান্স করে এই রেকর্ডের মালিক হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বর্তমানে সেই রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়ল নীলফামারীর অন্তু। তিনি এক মিনিটে হাতের পিঠে ১০০ এবং ৩০ সেকেন্ডে ৬৫টি পেন্সিল রেখে গিনেস বুকে নিজের নাম লেখান।

গিনেস বুকে রেকর্ডকারী অন্তু বলেন, ‘করোনাকালে স্কুল বন্ধ থাকায় ২০২১ সালে দুটি গিনেস রেকর্ড গড়তে সক্ষম হই। প্রথমটা স্ট্যাপলারের পিন দিয়ে শিকল তৈরি করে এবং পরে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ পিলের ৭.৩৫ সেকেন্ডের রেকর্ড ভেঙে মাত্র ৭.১৬ সেকেন্ডে ১০টি সার্জিক্যাল মাস্ক পরিধান করে।’

তিনি আরো বলেন, ‘এবার বিশ্বের অনেক রেকর্ডগুলোর মধ্য থেকে আমি বেছে নেই এক মিনিট ও ৩০ সেকেন্ডে সর্বোচ্চ পেন্সিল হাতের ওপর রাখার রেকর্ডটি। এই রেকর্ড দুটি ভাঙার জন্য আমি কিছু দিন ধরে প্রস্তুতি নেওয়ার পর সেটি আমার আয়ত্বে চলে আসে। তখন আমি রেকর্ড দুটি ভাঙার জন্য গিনেস বুকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এ বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি আবেদন করি। ৫ মার্চ গিনেস বুক আমার আবেদন গ্রহণ করে অনুমতি দেয়। তাদের নির্দেশনা মতো আমার রেকর্ড দুটির ভিডিও বার্তা পাঠানোর জন্য বলা হয়। সে অনুযায়ী, ভিডিও পাঠাই আমি। গিনেস কর্তৃপক্ষ গত ৩০ জুন ই-মেইলের মাধ্যমে জানায়, আমার রেকর্ড দুটি সফল হয়েছে। আমি এবার এই ক্যাটাগরিতে বিশ্ব রেকর্ডধারী। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে গিনেস বুকের রেকর্ড ভাঙার স্বীকৃতিপত্র পাঠানো হবে বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।’

অন্তু বলেন, ‘আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে এখন আমি চারটি রেকর্ডের মালিক। তবে সহপাঠীদের সাহায্য-সহযোগিতা ছাড়া লক্ষ্যে পৌঁছাতে কষ্ট হয়ে যেত। সবার দোয়া ছিল বলে আমার ইচ্ছেটা পূরণ করতে পেরেছি।’

অন্তুর মা নাসমুন নাহার বলেন, ‘আমার ছেলে ছোট থেকেই বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নিয়ে ব্যস্ত থাকে। একটু সময় পেলেই যন্ত্রপাতি নিয়ে বসে। প্রতিনিয়তই তার নতুন কিছু আবিষ্কারের চিন্তা থাকে। সে পরপর চারটি বিশ্ব রেকর্ড করেছে। এতে আমরা গর্বিত। সবাই আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন।’