সারা বাংলা

মুন্সীগঞ্জের ‘বিক্রমের’ দাম ১৫ লাখ 

মুন্সীগঞ্জের ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড় ‘বিক্রম’। ২২ মাস বয়সী এই ষাঁড়ের ওজন ২২ মণ। জেলার লৌহজং উপজেলার শুভরিয়া গ্রামের রাধেশ্যাম ও তার স্ত্রী শিখা রানী পরম মমতায় লালন পালন করছেন এই প্রাণীটিকে। ন্যায্য দাম পেলেই কোরবানির ঈদে এই ষাঁড়টিকে বিক্রি করতে চান তারা। রাধেশ্যাম এ জন্য ‘বিক্রমের’ দাম চেয়েছেন ১৫ লাখ টাকা।

সোমবার (৪ জুলাই) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাধেশ্যাম নিজের গোয়ালঘরে পরম মমতায় লালন পালন করছেন বিক্রমকে। বিক্রমের গায়ের রঙ সাদা ও কালো। রাধেশ্যামের ওই গোয়লঘরে শুধু বিক্রমেরই বসবাস। দিনরাত সব সময় গোয়াল ঘরটিতে রাখা হয় বিক্রমকে। গোয়াল ঘরেই চলে এর সেবা ও চিকিৎসা।

রাধেশ্যামের স্ত্রী শিখা রাণী বলেন, ‘ওর নাম রাখছি আমরা বিক্রম। আমরা ওকে নিজ সন্তানের মতোই আদর করে লালন পালন করতেছি। বিক্রমের ওজন এখন ২২ মণ। ওরে আমরা জমির কাচাঁ ঘাস ও খৈল ভূষি কুড়া খাওয়াই। এছাড়া অন্য কিছু ওকে খেতে দেওয়া হয়না।’

রাধেশ্যাম বলেন, ‘এই ষাঁড়টি ফ্রিজিয়ান জাতের। এর বয়স ২২ মাস। ওজনও ২২মণ। এই ষাঁড়টিকে আমরা কোন ইউরিয়া সার কিংবা ফিট খাওয়াই নাই। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ঘাস খৈল ভূষি খাওয়ানো হইছে। ষাঁড়টি এখন বিক্রি করতে চাই। ১৫ লাখ টাকা হলে ঈদে আমরা বিক্রামকে বিক্রি করবো।’ 

মুন্সীগঞ্জ প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. এনায়েত করিম বলেন, ‘মুন্সীগঞ্জ জেলায় কোরবানির জন্য এ বছর ১৫ হাজার ৭২৭টি গরু ও ৯১০টি ছাগল ও ভেড়া রয়েছে। যে পরিমাণ কোরবানীর জন্য গরুর প্রয়োজন হয়  এ জেলায় এবার তার চেয়ে অনেক কম গরু রয়েছে। অন্য জেলা থেকে ব্যাপারি ও মালিকরা গরু আনবেন। এতে কোরবানির পশুর চাহিদা পূরণ হবে।