সারা বাংলা

ঈদের আগে গরু চোরাচালান রোধে পদক্ষেপ নিয়েছি : বিজিবি মহাপরিচালক

ঈদের আগে যাতে গবাদি গরু চোরাচালান না হয় এবং ঈদের পরে যেন চামড়া পাচার না হয়, সেজন্য সীমান্তরক্ষা বাহিনী (বিজিবি) প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ। 

মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা প্রত্যেক সেক্টরে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছি। বিশেষ করে যে এলাকাগুলোতে চামড়া পাচারের প্রবণতা বেশি, সেই এলাকায় কঠোর নির্দেশনা দেওয়া আছে।’ 

সোমবার (৪ জুন) দুপুরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ রাজশাহী ব্যাটালিয়নের (১ বিজিবি) ২২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। 

বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘ঈদের আগে গবাদি পশুর চোরাচালান বেড়ে যায়। আমরা এবার চেষ্টা করছি, যাতে কোনো সীমান্ত দিয়ে গবাদি পশু বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে। কারণ, আমাদের দেশে উৎপাদিত পশু দিয়েই কোরবানির পশুর চাহিদা মিটবে বলে খামারিরা জানিয়েছেন। খামারিরা যেন কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সেই ব্যাপারে আমরা সচেষ্ট থাকবো। এজন্য প্রত্যেকটি ব্যাটালিয়ন, সেক্টর এবং বিওপিকে সতর্ক অবস্থানে রাখা হয়েছে।’ 

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে মেজর জেনারেল সাকিল বলেন, ‘আমরা আমাদের কর্মপরিধি অনেক বাড়িয়েছি। আমাদের বিওপি ও ব্যাটালিয়নের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। আমরা এখন চেষ্টা করছি, এক বিওপি থেকে আরেক বিওপি’র দূরত্ব আরও কমানোর জন্য। ইতোমধ্যেই আমরা বিওপিতে জনবল বৃদ্ধি করেছি। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ কোনো এলাকাতে যদি জনবল বেশি প্রয়োজন হয়, তাহলে অন্য এলাকা থেকে রিসোর্স সেখানে বাড়াই। মোটকথা সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান কিংবা অবৈধ পাচাররোধে বিজিবি সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে।’   সোমবার রাজশাহী ব্যাটালিয়ন সদর দফতরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রীতিভোজ ও কেক কাটার আয়োজন করা হয়। ১ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিনের প্রশিক্ষণ মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ। 

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- রংপুর রিজিয়ন সদর দফতরের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নওরোজ, রাজশাহী ১ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, পরিচালক লে. কর্নেল সাব্বির আহমেদ, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জেএসএম জাফরউল্লাহ্, রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. হাবিবুর রহমান, জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) মো. মজিদ আলী প্রমুখ। 

অনুষ্ঠানের শুরুতে বিজিবি-১ ব্যাটালিয়নের গার্ড অব অর্নার অর্ডার গ্রহণ করেন মহাপরিচালক। এরপর তিনি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর প্রীতিভোজ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিজিবি মহাপরিচালক।