সারা বাংলা

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বিদ্যুৎ ঘাটতি ১৩৮ মেগাওয়াট 

খুলনা অঞ্চলে হঠাৎ করে গত তিন দিন ধরে লোডশেডিং শুরু হয়েছে। এতে প্রচণ্ড গরমের কারণে দিশেহারা হয়ে পড়েছে মানুষ। দিনের পাশাপাশি গভীর রাতেও বিদ্যুতের লুকোচুরি খেলা চলছে। 

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলায় ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) একদিনে ১৩৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি হয়েছে।

বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, হঠাৎ করে গ্যাস ও ডিজেলের সরবরাহ কম থাকায় উৎপাদন কম হওয়ায় বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ফলে চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।

ওজোপাডিকো’র সূত্র জানায়, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের আওতাধীন খুলনা বিভাগের ১০ জেলা, বরিশাল বিভাগের ৬ জেলা ও বৃহত্তর ফরিদপুরসহ ২১ জেলায় গ্রাহক রয়েছে ১৪ লাখ ২৮ হাজার। 

সোমবার (৪ জুলাই) ২১ জেলায় বিদ্যুতের চাহিদার বিপরীতে ঘাটতি ছিল ১৩৮ মেগাওয়াট। এরমধ্যে দিনে অফপিক আওয়ারে ৭৬ মেগাওয়াট এবং রাতে পিক আওয়ারে ৬২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি ছিল। ফলে বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের সরবরাহ বন্ধ রেখে ঘাটতি পূরণ করতে হচ্ছে। খুলনা সরকারি বিএল কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ফাহিম মুনতাসির সাফিন বলেন, দিনে-রাতে কয়েকদফা বিদ্যুৎ থাকছে না। বিশেষ করে রাতে পড়ার সময়ে বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। এতে লেখাপড়া করতে সমস্যা হচ্ছে। 

নগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকার সাইদুল ইসলাম বলেন, ঘন ঘন বিদ্যুৎ যাচ্ছে-আসছে। এতে ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার ক্ষতি হচ্ছে। আর ভ্যাপসা গরমে ঘরে থাকা যাচ্ছে না। ফ্রিজ-টেলিভিশন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। হঠাৎ করে বিদ্যুতের সমস্যায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

খুলনা পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো. জিল্লুর রহমান বলেন, পল্লি বিদ্যুতের গ্রাহক প্রায় ৪ লাখ। গ্যাস ঘাটতির কারণে উৎপাদন বিঘ্নিত হচ্ছে। খুলনা জেলায় পল্লি বিদ্যুতের জন্য প্রতিদিন ৬৫-৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন। সেখানে ঘাটতি রয়েছে ১৫ মেগাওয়াট। মাঝেমধ্যে ঘাটতি বেড়ে যাচ্ছে।

ওজোপাডিকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজহারুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুতের চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ কমেছে। গত তিনদিন এমন চলছে। এটা শুধু খুলনাতেই নয়, সারা দেশেই হচ্ছে।

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, গ্যাস এবং ডিজেলের সংকটের কারণে বিদ্যুতের সরবরাহ কমেছে। তবে দ্রুত এই অবস্থার অবসান ঘটবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।