সারা বাংলা

বন্ধ ঘোষণার পরেও ফেরি পারাপার হচ্ছে মোটরসাইকেল

দুর্ঘটনা রোধে আজ থেকে সাতদিনের জন্য মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ করেছে সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়। একই রকম ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

বুধবার (৬ জুলাই) বিআইডব্লিউটিএ এক নির্দেশনায় বলেছে, ঈদুল আজহার ১১ দিন নৌযানে (লঞ্চে বা ফেরিতে) মোটরসাইকেল পরিবহণ করা যাবে না। তবে সেই নির্দেশনা অমান্য করে মহাসড়ক ও ফেরিতে মোটরসাইকেল চলাচল করতে দেখা গেছে।

বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) বিকেলে দৌলতদিয়ায় ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ বাড়তে শুরু করেছে এই রুটে। এসময় শত শত মোটরসাইকেল আরোহীকে টিকিট কেটে ফেরি দিয়ে পার হতে দেখা যায়।

এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম এবং পাটুরিয়া ঘাটের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ বলেন, ‘মোটরসাইকেল ফেরিতে উঠতে কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা নেই। মহাসড়কে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘যেহেতু মহাসড়কে তারা কোন রকম বাঁধা না পেয়ে ঘাট পর্যন্ত আসতে পেরেছে এবং ফেরিতে যথেষ্ট জায়গা থাকায় তাদের টিকিট দেওয়া হয়েছে। এটা মানবিক কারণে দেওয়া। আমি তো চাইলেই তাদের পুনরায় ঢাকা ফেরত পাঠাতে পারি না। যদি ফেরির সক্ষমতা না থাকত তাহলে আমরা বাঁধা দিতে পারতাম।’