সারা বাংলা

সাভারে চোখ বেঁধে গৃহপরিচারিকাকে অমানবিক নির্যাতন

ঢাকার সাভারে মোবাইল চুরির অপবাদে এক গৃহপরিচারিকাকে চোখ বেঁধে রড দিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীর অভিযোগ, নির্যাতনের এক পর্যায়ে প্লাস দিয়ে তার হাত-পায়ের আঙ্গুলে চাপ দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (১২ জুলাই) সকালে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজমিনা নামের ওই গৃহপরিচারিকা এসব অভিযোগ করেন।

এর আগে গত শনিবার আশুলিয়ার গাজীরচট বটতলা এলাকায় দুলাল হোসেনের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। 

ভুক্তভোগী আজমিনা বেগম শেরপুর জেলার নকলা থানার মহিমাকান্দা গ্রামের মো. মনাহারের স্ত্রী। তিনি পরিবারের সঙ্গে আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুত কবরস্থান রোড এলাকার মো. রহমতের বাসায় ভাড়া থাকেন।

আজমিনা বেগম বলেন, ‘আমি গার্মেন্টসে চাকরি করি। কিন্তু ঈদের আগে বেতন না পেয়ে এক বাড়িতে দিনের কাজ নেই। আমার ননদ আমাকে গাজীরচট এলাকায় দুলাল নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে ঈদের আগের দিন কাজ দেয়। তিনিও একি বাড়িতে কাজ করতেন। ঈদের আগের দিন শনিবার সকাল ৮টার দিকে ওই বাড়িতে কাজে যাই। কাজ শেষ করে দুপুর ১২টার দিকে পল্লীবিদ্যুত আমার ভাড়া বাসায় ফিরে আসি। ওই দিন দুপুর ১টার দিকে বাড়িওয়ালার বড় ছেলেসহ আরেকজন মোটরসাইকেল নিয়ে আমার বাড়িতে আসেন। পরে আমি মোবাইল চুরি করছি এমন কথা বলে গালমন্দ করতে থাকেন। এরপর আমাকে মোটরসাইকেলে তুলে তাদের বাসায় নিয়ে যান। পরে ফ্ল্যাটে নিয়ে তারা আমার চোখ বেঁধে ফেলে। এসময় বাড়িওয়ালা, তার ছেলে, স্ত্রী ও স্বজনরা মিলে আমাকে রড দিয়ে পেটাতে থাকে। পরে প্লাস দিয়ে আমার হাতের আঙ্গুলে চাপ দিয়ে নির্যাতন চালায়।’ 

তিনি আরো বলেন, ‘এসময় আমার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।'

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ওই কাজের মহিলাকে অমানবিক নির্যাতন করেছে বাড়িওয়ালা। বাড়িওয়ালার মারধরে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালেও নিতে বাঁধা দেওয়া হয়েছিল। পরে এলাকার লোকজন ওই নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত বাড়ির মালিক দুলাল হোসেনকে একাধিকবার ফোন করলেও তার বক্তব্য মেলেনি।

আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ জিয়াউল ইসলাম বলেন, 'বিষয়টা আমার জানা নেই। ভুক্তভোগী থানায় এসে অভিযোগ করলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো।'