কক্সবাজারের মেরিনড্রাইভ সড়কের রেজুখাল সেতু এলাকায় তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। ইনানী সমুদ্র সৈকত যেতে ইচ্ছুক অতিরিক্ত পর্যটকদের নিয়ে আসা যানবহন, রেজুলাখ সেতুর প্রশস্ততা কম হওয়া এবং বিজিবির চেক পোস্ট থাকায় এ যানজট দেখা দিয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
বুধবার (১৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এই যানজট দেখা দেয়। বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, যানজট নিরসনে আরো কয়েক ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।
জানা গেছে, সকালে রেজুখাল সেতুর বিজিবি চেকপোস্টের আগে ও পরে এই যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাদের গাড়ি, প্রাইভেট কার, ট্যুরিস্ট জিপ, বাস, মাইক্রো বাস, সিএনজি চালিত অটোরিকশাসহ ৩০০ যানবাহন সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যানজটের ভোগান্তিতে পড়েছেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
সেন্টমার্টিন থেকে সাজেক যাচ্ছিলেন যুবক আবদুল মালেক। তিনি বলেন, 'দুপুর দেড়টা থেকে রেজুখাল সেতুর দক্ষিণ মাথায় গাড়িতে বসে ছিলাম। এখন বাজে সাড়ে ৩টা। কোনো গাড়ির চলাচল নেই। আমার বন্ধুরা আমার জন্য কক্সবাজারে অপেক্ষায় আছে। কোনো উপায় না দেখে তাই পায়ে হেঁটে অনেকদূর আসার পর একটা সিএনজি পেলাম।এখন এই সিএনজিতে করে কক্সবাজার যাচ্ছি।’
ছেপটখালী থেকে কক্সবাজার চিকিৎসার জন্য যাচ্ছিলেন আকতার মিয়া। তিনি বলেন, 'দুই ঘণ্টা যানজটে বসা। আর অপেক্ষা করতে পারছি না, অসুস্থ শরীর নিয়ে হাঁটছি। সামনে গাড়ি পেলে সেটাতে উঠে ডাক্তারের কাছে যাবো।'
অটোরিকশা চালক জামাল উদ্দিন বলেন, 'দুপুর ১২ টা থেকে যানজট। এখনো রাস্তা খালি হয়নি। ঘণ্টা দুয়েক অপেক্ষার পর যাত্রীরা গাড়ি থেকে নেমে গেছেন। আমি গাড়ি উল্টো রাস্তায় ঘুরিয়ে শহরের দিকে চলে যাচ্ছি।'
সাম্পান বাসের চালক সিফাত উদ্দিন বলেন, 'রেজুখাল সেতুর পাশেই বিজিবির চেকপোস্ট। সবমিলিয়ে প্রতিদিন এই স্থানে যানজট হয়। তবে আজকের যানজটটা অন্যান্য দিনের চেয়ে ব্যতিক্রম।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজিবি’র এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা চাই পর্যটকরা নিরাপদে কক্সবাজার ঘুরে বেড়াক। কিন্তু আমাদের দায়িত্বটাও পালন করতে হবে। যাত্রীদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া ও তাদের কাছে সন্দেহজনক কিছু আছে কিনা সেটিও খুঁজে দেখা আমাদের দায়িত্ব। তাই আজ যানজট অন্যান্য দিনের চেয়ে একটু বেশি। তবুও আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত যানজট নিরসন করতে।