সারা বাংলা

তামিলনাড়ু থেকে বরিশালে এসেও প্রেমকান্তের প্রেম অধরা

প্রেমের টানে ভারতের তামিলনাড়ু থেকে বরিশালে এসে প্রেমিকার সন্ধানে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছেন প্রেমাকান্ত নামের এক যুবক। দেখাও হয়েছে প্রেমিকার সঙ্গে। এমনকি প্রেমিকার বর্তমান বয়ফ্রেন্ডের কাছে মারও খেয়েছেন। এরপর প্রেমে ব্যর্থ হয়ে দেশে ফিরে গেছেন তিনি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তামিলনাড়ুর যুবক প্রেমকান্তের মনোমুগ্ধকর ড্যান্স দেখেই প্রেমে মজেন বাংলাদেশের বরগুনার তালতলি উপজেলার এক মেয়ে। প্রেমকান্তের ভিডিওতে লাইক কমেন্ট করতে থাকেন সেই কিশোরী। একপর্যায়ে ফেসবুকে পরিচয় হয় দুইজনের মধ্যে। শুরু হয় ভাবের আদান প্রদানও। এরপর দুই জনের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক।

প্রেমকান্তের দাবি, ‘প্রেম শুধু মেয়ের সঙ্গেই নয়, সুসম্পর্ক হয়েছে দুই পরিবারের মধ্যেই। আর তাই ভিডিও কলে নয় মনস্থির করি ভালোবাসার মানুষটিকে সরাসরি একনজর দেখবো বলে।’  

প্রেমকান্ত বলেন, ‘একনজরে প্রেমিকাকে দেখবো বলে ভারতের তামিলনাড়ু থেকে বাংলাদেশের বরিশাল শহরে আসি। শুনেছি বরিশালের একটি কলেজে ওই মেয়ে পড়াশোনা করেন। বরিশালে আসার পর দেখাও মেলে তার। কিন্তু এরপরই নতুন মোড় নেয় দুইজনের প্রেমের।’ 

নেটওয়ার্কিং ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করা প্রেমকান্ত বলেন, ‘২০১৯ সালে ফেসবুকে পরিচয়। এরপর ধীরে ধীরে সম্পর্ক আরও গভীর হয়। করোনার বাঁধা কাটিয়ে গত ২৪ জুলাই বাংলাদেশ এলে বরিশালের একটি রেস্টুরেন্টে দুইজনের দেখা হয়। দেখা হওয়ার একদিন পরই জানতে পারি চয়ন হালদার নামের এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক আছে মেয়েটির। আর এরপরই হঠাৎ প্রেমিকা ও তার পরিবার আমার সঙ্গে বন্ধ করে দেয় যোগাযোগ। শেষমেশ প্রেমিকার নতুন প্রেমিকের হাতে মারও খেতে হয়। এমনকি তারা আমার টাকা পয়সাও ছিনিয়ে নিয়ে যায়।’ 

এ বিষয়ে বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমলেশ চন্দ্র হালদার জানান, ওই যুবক বৈধভাবেই বাংলাদেশে আসেন। নিরাপত্তার স্বার্থে তাকে থানায় আনা হলে তিনি পুরো ঘটনা খুলে বলেন। পরে ভারতীয় হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই যুবককে গত সোমবার সকালে ঢাকার গাড়িতে তুলে দেওয়া হয়। সেখান থেকে নিজ দায়িত্বে তার বিমানযোগে ভারতে চলে যাওয়ার কথা।  

তিনি আরও জানান, যার সঙ্গে ওই যুবক সম্পর্কের কথা বলছে, তিনি অপ্রাপ্ত বয়স্ক। ভারতীয় হাইকমিশনের কর্মকর্তারা ওই ছেলেকে বাংলাদেশের আইন সম্পর্কে অবহিত করে বোঝান। এরপর তাকে ভারতে চলে যাওয়ার জন্য বলেন। পরে ছেলেটিও ভারতে চলে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করলে গাড়িতে তুলে দেওয়া হয় তাকে।