সারা বাংলা

ডাক্তারের সই জাল করে সার্টিফিকেট ব্যবসা, থানায় জিডি

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. সোনিয়া আক্তারের সই ও সিল জাল করে বয়স নির্ধারণের সার্টিফিকেট তৈরি করার ঘটনায় ফরাজী ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) রাতে থানায় জিডিটি করেন সোনিয়া আক্তার। একই সঙ্গে তিনি এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। 

থানায় করা জিডি থেকে জানা যায়, সম্প্রতি ডা. সোনিয়া নিজ চেম্বারের রোগীর আল্ট্রাসনোগ্রাম করার জন্য ফরাজী ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যান। আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিনের পাশে রাখা রোগীর রিপোর্ট মনে করে একটি খাম খোলেন তিনি। এসময় খামের ভেতর তার প্রেসক্রিপশন প্যাডে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন বয়স নির্ধরনী সার্টিফিকেট দেখতে পান ডা. সোনিয়া। যার কোনোটি তার তৈরি নয় বলে জিডিতে উল্লেখ করেন তিনি।

এব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ল্যাব টেকনিসিয়ান মো. জাকির হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। 

ডায়গনস্টিক সেন্টারের মালিক নূর নবী বলেন, ‘যেহেতু আমি এই ডায়গনস্টিক সেন্টারের মালিক, তাই এই দায় এড়াতে পারি না। তবে আমার এখানে এমন কিছু ঘটছে এ বিষয়ে আমার কিছুই জানা ছিল না।’ 

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সারওয়ার হোসেন খান বলেন, ‘ঘটনাটি তদন্তে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।’ 

মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহা. নূরুল ইসলাম বাদল বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’