সারা বাংলা

পদ্মা সেতুর ওপর চলন্ত গাড়ি থেকে নদীতে ঝাঁপ

চলন্ত গাড়ির দরজা খুলে পদ্মা সেতু থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন নুরুজ্জামান (৩৮) নামে এক গার্মেন্টস কর্মী।  

সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেল পৌনে তিনটার দিকে সেতুর ঢাকামুখী মাওয়া অংশে থেকে ঝাঁপ দেন নুরুজ্জামান।

এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তার খোঁজ না পাওয়ায় মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) নদীতে অভিযান চালাচ্ছে নৌপুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

তীব্র ঘূর্ণি স্রোতের কারণে নদীর তলদেশে নামতে পারেনি ডুবুরি দল। এতে উদ্ধার অভিযান চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। তবে ঠিক কী কারণে তিনি নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানান মাওয়া নৌপুলিশ।

নিখোঁজ নুরুজ্জামানের বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুর থানায়। তিনি নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরের উর্মি গার্মেন্টসে কাজ করতেন।

গাড়িতে নুরুজ্জামানের পাশে থাকা ওমর ফারুক বলেন, সকাল ৭টায় নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এলাকা থেকে গোপালগঞ্জের উদ্দেশে রওনা করে সেখানে পৌঁছাই সাড়ে ১০টায়। সেখানে ২ ঘণ্টার মতো থেকে ফুল দিতে চেষ্টা করি। এরপর সেখান থেকে বাসার উদ্দেশে রওনা করি। পদ্মা সেতুতে ঢাকাগামী লেনটিতে কাজ চলছে। সে কারণে গাড়ি ধীরগতিতে ছিল। নুরুজ্জামান পেছনের সিটে ছিলেন। হঠাৎ গাড়ির দরজা খুলে তিনি নদীতে ঝাঁপ দেন।

নুরুজ্জামানের স্ত্রী সবুরা বলেন, পুলিশের মাধ্যমে জানতে পারি আমার স্বামী পদ্মা সেতু থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছে। খবর পেয়ে পদ্মা সেতু এলাকায় এসে তাকে খুঁজতে থাকি। তবে কী কারণে ঝাঁপ দিয়েছেন সেটা এখনও বলতে পারছি না।

মাওয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ অহিদুজ্জামান জানান, সোমবার রাতে টুঙ্গিপাড়ায় যাওয়ার জন্য একটি প্রাইভেট কার ভাড়া করেছিলেন নুরুজ্জামান। কিন্তু বঙ্গবন্ধু সমাধি সৌধে ফুলেল তোরা দেওয়ার অনুমতি কার্ড না থাকায় তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর পদ্মা সেতুর ঢাকামুখী লেনে দিয়ে ফেরার পথে চলন্ত গাড়ির দরজা খুলে ঝাঁপ দেন তিনি।