সারা বাংলা

ভোলায় এখনো ৭০ জেলে নিখোঁজ, উদ্ধারে কোস্টগার্ড

বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে নিখোঁজ চরফ্যাশনের চারটি ও লালমোহনের চারটি ট্রলারের সন্ধান মেলেনি। ডুবে যাওয়া বিভিন্ন ট্রলারের অন্তত ৭০ জন জেলের তিন দিনেও সন্ধান না পাওয়ায় তাদের ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা নিয়ে উৎকণ্ঠায় পরিবারগুলো। 

লালমোহনের চার ট্রলারের ৭৫ জেলেকে সুন্দরবন থেকে উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পল্লব কুমার হাজরা বলেন, সাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে যেসব ট্রলার ও জেলে নিখোঁজ হয়েছে, তাদের মধ্যে ৭৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। 

নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে কোস্টগার্ডের পাঁচটি টিম সাগরে অভিযান পরিচালনা করছে। রোববার (২১ আগস্ট) সকাল থেকে আবহাওয়া রৌদ্রোজ্জ্বল। নদী শান্ত রয়েছে। স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছে উপকূলে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্লাহ বলেন, যেসব ট্রলার ডুবেছে, সেই সব ট্রলারের বেশিরভাগ জেলে জীবিত উদ্ধার হয়েছে। তবে এখনো জেলার ৭০ জন জেলের সন্ধান মেলেনি। 

চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর ইউপি চেয়ারম্যান সালাম হাওয়াদার জানান, তার ইউনিয়নের দুটি ট্রলার নিখোঁজ ছিল। শনিবার (২০ আগস্ট) সেগুলোর সন্ধান মিলেছে। তবে ৮ আগস্ট ডুবে যাওয়া ইউসুফ মাঝির ট্রলারের আট জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছে। ১৩ দিনেও তাদের সন্ধান মেলেনি।

কুকরি-মুকরি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হাসেম মহাজন বলেন, তার ইউনিয়নের এখনও একটি ট্রলারের সন্ধান মেলেনি। সেই ট্রলারে ১৪/১৫ জন জেলে ছিল।  

কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা কে এম শফিউল কিঞ্জল বলেন, ঝড়ের কবলে পড়ে নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে তৃতীয় দিনের মতো রোববার (২১ আগস্ট) সকাল থেকে অভিযানে রয়েছে কোস্টগার্ড। তবে দুপুর পর্যন্ত কোনো জেলে উদ্ধার হয়নি। নিখোঁজ জেলেরা উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত অভিয্ন চলবে বলে জানিয়েছে কেস্টগার্ড।