সারা বাংলা

স্কুলের মাঠে দূষিত পানি-কচুরিপানা 

স্কুলের খেলার মাঠটি এখন জলাশয়। বছরের পুরো সময়টাতে পানি থাকায় খেলাধুলার সুযোগ পান না শিক্ষার্থীরা। এছাড়া কচুরিপানা জন্মানোয় এক প্রকার ভোগান্তিতেই পোহাতে হয় শিক্ষার্থীদের।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের হাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবস্থা এটি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের হাড়িয়া গ্রামে ১৯৯৫ সালে হাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। ৩৪ শতক জায়গার উপর নির্মিত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি সরকারের নানা ধরণের উন্নয়ন বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত। এটি প্রথমে হাড়িয়া স্বল্পব্যয়ী প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিল। পরে হাড়িয়া কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও এক সময় হাড়িয়া রেজিষ্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় রূপান্তরিত হয়। ২০১৩ সালে বিদ্যালয়টির সরকারিকরণ হয়।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ২০৬ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্যে ছাত্রী ১১৭ ও ছাত্র ৮৯। প্রধান শিক্ষকসহ পাঁচজন শিক্ষক থাকলেও প্রাক প্রাথমিকের কোনো শিক্ষক নেই। দাপ্তরিক কাজের জন্য ছোট একটি কক্ষ ও শ্রেণির কার্যক্রমের জন্য তিনটি কক্ষ রয়েছে। এতেই চলে পাঠদান।

সোমবার (২১ আগস্ট) দুপুরে বিদ্যালয়টির সামনে গিয়ে দেখা যায়, স্কুলটির মাঠজুড়েই জমে রয়েছে পানি। নোংড়া ও দূষিত পানিতে জন্ম নিয়েছে কচুরিপানা।

বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম ও তামান্না আক্তার বলেন, ‘স্কুলে আইয়্যা আমডার খেলতে মন চাই। কিন্তু মাডে (মাঠে) পানি। এই পানিতে শরীল (শরীর) চুলকায়। আমরা খেলতাম চাই। তাই খেলার মাডটা ঠিক করলে খেলতে পারুম।’

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোছা. রোকসানা বেগম বলেন, ‘তিন বছর ধরেই বিদ্যালয়ে মাঠে পানি। ছেলেমেয়েরা খেলাধুলা করতে পারে না। স্কুলের ছেলে-মেয়েদের খেলার প্রতিযোগিতা হলে সুহিলপুর মাঠে নিয়ে খেলাতে হয়। এছাড়া এই দূষিত পানির কারণে স্কুলে আসা যাওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে মাঠটি ঠিক করে দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানাচ্ছি।’

হাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন খন্দকার রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘স্কুলের মাঠের জলাবদ্ধতা নিয়ে ইউএনও এবং স্থানীয় সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যানের কাছে অনেকবার গিয়েছি। বর্তমান চেয়ারম্যান আমাকে জানিয়েছে স্কুল মাঠ ঠিক করা, নতুন ভবন এবং সীমানা প্রাচীরের প্রয়োজন নিয়ে উপজেলার মাসিক মিটিংয়ে আলোচনা হয়েছে। দ্রুত এ বিষয়টি সমাধান করা হবে বলেও চেয়ারম্যান আমাকে আশ্বস্ত করেছেন।’