সারা বাংলা

উপকূলের জেলেদের সুরক্ষায় চালু হচ্ছে নেটওয়ার্কিং সুবিধা

ভোলার উপকূলীয় অঞ্চলের জেলেদের সুরক্ষার জন্য  চালু হতে যাচ্ছে গ্লোবাল সিস্টেম অব মোবাইল নেটওয়ার্ক (জিএসএম)। মৎস্য ও প্রানী সম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

দুর্যোগের সময় সতর্কবার্তা, ঝড়ের পূর্বাভাসের বিষেয়ে আগাম সতর্কতা জারি করতে এ নেটওয়ার্টকিং সিস্টেম চালু হতে যাচ্ছে।  মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা ওবায়েদুল্লাহ এতথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

মোল্লা ওবায়েদুল্লাহ বলেন, ‘ভোলা জোলার সাত উপজেলার ১ হাজার ৬২০টি সমুদ্রগামী ট্রলারে জিএসএম সুবিধা দেওয়া হবে।’ 

তিনি আরো বলেন, ‘ভোলা সদর উপজেলার ১৭০টি, দৌলতখান উপজেলার ২৫০টি, বোরহানউদ্দিন উপজেলার ১০০টি, তজুমদ্দিন উপজেলার ৩০০টি, লালমোহন উপজেলার ১৩০টি, চরফ্যাশন উপজেলার ৪০০টি এবং মনপুরা উপজেলার ৩০০টি ট্রলার জিএসএম সুবিধার আওতায় আসবে। সম্প্রতি চরফ্যাশনেরর কিছু ট্রলারে এ সুবিধা রয়েছে। খুব শিগগির অন্য উপজেলায় এ কর্যক্রম শুরু হবে।’

প্রতিবছরের ১৫ মার্চ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত নৌপথ উত্তাল থাকায় এই সময়কে ডেঞ্জার জোন বা বিপজ্জনক মৌসুম হিসাবে চিহ্নিত করেছে সমুদ্র অধিদপ্তর। প্রতি বছর এ মৌসুমে ঝড়-জলোচ্ছাস, সাগরে গভীর নিম্নচাপসহ প্রকৃতিক দুর্যোগ দেখা দেয়। অনেক সময় দুর্যোগের সতর্কবার্তা জেলেদের কাছে না পৌঁছানোয় সমুদ্রে ঝড়ের কবলে পড়ে তাদের প্রাণ হারাতে হয়। তাই উপকূলের সমুদ্রগামী জেলেদের সুরক্ষা এবং সতর্কবার্তা সঠিক সময়ে পৌঁছে দিতে জিএসএম সিস্টেম চালুর উদ্যোগ নেয় মৎস্য ও প্রানী অধিদপ্তর।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘জিএসএম সিস্টেম হলে আমরা জেলেদের আবহাওয়া পূর্বাভাস জানাতে পারবো এবং সমুদ্রে তাদের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারবো।’ 

উল্লেখ্য, ভোলায় সমুদ্রগামী নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৬৫ হাজার এবং মেঘনা-তেঁতুলিয়ার এক লাখ ৪৮ হাজার জেলে রয়েছে। এর বাইরে আরও ২ লাখ জেলে সাগর ও নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করছে।